দুবাই পুলিশের নজরদারিতে আছেন আরাভ খান: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৩:১৯ এএম

দুবাই পুলিশের নজরদারিতে আছেন আরাভ খান: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খান হত্যা মামলার আসামি বাংলাদেশি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুবাইয়ে বাংলাদেশ মিশনও এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র জানান, আরাভ খানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে যদি সহায়তা চায়, তাহলে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করবো। দুবাইয়ের বাংলাদেশ মিশন এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নসহ  বিভিন্ন পয়েন্ট আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রতিবেদনে প্রকাশিত ওইসব পয়েন্ট যাচাই বাছাই করতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। এটি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, “মানব পাচারের অভিযোগে সৌদি আরবে আটক বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে সেখানের বাংলাদেশ দূতাবাস খোঁজ খবর রাখছে। আমরা আটক ছয় নাগরিকের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। দূতাবাস তাদের জন্য কাজ করছে।“

প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত বুধবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন করেন আরাভ খান। উদ্বোধন উপলক্ষে ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয় বাজপাখির আদলে লোগো, যা তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের অনেক তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন আরাভ খান। ওই পোস্টের সূত্র ধরেই বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত হয় আরাভ খানই পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন রবিউল। দেশ থেকে পালিয়ে রবিউল ইসলাম প্রথমে ভারতে যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাইয়ে চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী।আরাভ খান দুবাইয়ে অবস্থান করছেন ভারতীয় পাসপোর্টে। তাকে দেশে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ফিরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

Link copied!