সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

‘জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধার চলতি মাসেই সম্ভব’

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৯, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম

‘জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধার চলতি মাসেই সম্ভব’

সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: দ্য রিপোর্ট.লাইভ

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি নাবিকদের চলতি মাসেই সুষ্ঠুভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া আমাদের প্রধান দায়িত্ব।’

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ঈদের আগে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের মুক্ত করতে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে নাবিকদের যেন দেশে আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করতে পারিনি, সেটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই এর সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তারাও খোঁজখবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলছি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নাবিকদের যোগাযোগ হচ্ছে। নৌপরিবহন  অধিদফতরও নিয়মিত যোগযোগ রাখছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছে। বিষয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তো কখনও দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, তাদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ আটকে গেল, তখনও এ ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম।’

নৌ-পথে চাপ আছে, ভোগান্তি নেই
ব্রিফিংয়ে ঈদে নৌ-পথে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকার কথা স্বীকার করলেও ভোগান্তি নেই বলে মন্তব্য করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঈদযাত্রার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবো। কারণ তিনি মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির (বহুমুখী সংযোগ) কথা ১৯৯৬ সালে প্রথম বলেছিলেন। বাংলাদেশের এই বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছেন তিনি। ‘আকাশ পথ, রেল পথ ও সড়ক পথ যা দেখেন, যে পরিমাণ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে- তা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে ছিল দক্ষিণাঞ্চল। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলকে যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু। একটি পদ্মা সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় কী ধরনের শৃঙ্খলা আনতে পারে, সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌ-পথে ভোগান্তি নাই, চাপ বলা যেতে পারে। মজুচৌধুরীঘাটের আজকের চিত্রের কথা বলি, সেখানে অতিরিক্ত চাপ ছিল, ভোগান্তি ছিল না। যাদের ভোগান্তির কথা বলছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলবেন, এটিই ঈদের আনন্দ। এখন কোনটা আমি ধরবো বলেন? আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী যথাসাধ্য সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকতেই পারে। কারণ আমরা মানব কাঠামোর উন্নয়নে এখনও সেখানে যেতে পারিনি।’

Link copied!