কাররক্ষীর সঙ্গে পরকীয়া, বলে দিলে প্রাণনাশের হুমকি, ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ১০:০০ পিএম

কাররক্ষীর সঙ্গে পরকীয়া, বলে দিলে প্রাণনাশের হুমকি, ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ

কারাগারে অন্তরীণ এক নারী কয়েদির সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় অন্য এক নারী হাজতির শ্লীলতাহানি এবং হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেছেন প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম। এমনই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়ে। ঘটনা গাইবান্ধা জেলার একটি কারাগারের।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) অভিযুক্ত কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামের শাস্তি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী হাজতির মা করিমন নেছা। প্রায় ৫ বছর ধরে মাদক মামলায় গাইবান্ধা হাজতে অন্তরীণ রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই কয়েদি।

অভিযোগপত্রে মেয়ের ৫ বছর হাজতবাসের বিষয়টি তুলে ধরে ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, ‘প্রায় ৫ বছর ধরে আমার মেয়ে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বন্দী আছে। কিছুদিন আগে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে কর্মরত প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম ও অন্য এক নারী কয়েদির (রাইটার) অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলে আমার মেয়ে। এতে আশরাফুল এবং ওই নারী কয়েদি আমার মেয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং ঘটনা জানালে হত্যা করে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আমার মেয়ে (ভুক্তভোগী) বিষয়টি কাউকে না জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও তাকে শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।’

আরও উল্লেখ করা হয়, ‘মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে একাধিকবার গাইবান্ধা কারাগারে এলেও সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে আমার মেয়ে গাইবান্ধা আদালতে হাজিরার তারিখে গেলে তার সাক্ষাৎ পাই। এরপর আমার কাছে কারাগারের ঘটনার বিবরণ দেয় সে।’

ভুক্তভোগী নারী কয়েদির মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের অভিযুক্ত কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এর সঙ্গে জড়িত না। আমার নাম কেন আসছে, আমার জানা নেই। ঘটনাটি একমাস আগের। ঘটনাটি এখানকার আরেক কারারক্ষীর সময়ের। কিন্তু আমার নাম কেন হচ্ছে সেটি সেটা বলতে পারছি না।’

গাইবান্ধা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) এডিসি মহোদয় তদন্তে এসেছিলেন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে।’

Link copied!