টিকটকে পরিচয়, অতঃপর দুই বান্ধবীর বিয়ে!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম

টিকটকে পরিচয়, অতঃপর দুই বান্ধবীর বিয়ে!

ছবি: সংগৃহীত

টিকটকে পরিচয় হওয়া দুই বান্ধবীর বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।

নারায়ণগঞ্জের তরুণী সুবর্ণার সঙ্গে বাগেরহাটের তরুণী তন্বী দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম করে আসছিলেন। একপর্যায়ে তারা দুজনেই একে অপরকে বিয়ে করে বসেন। শপথ নেন একসঙ্গে থাকার। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।

গত ১২ এপ্রিল তারা বিয়ে করেন। পরদিন শনিবার (১৩ এপ্রিল) পুলিশ তাদের আটক করে। আটক হওয়া দুই বান্ধবীর পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ সূত্র জানায়, তন্বী আক্তার মোংলার রহমান শেখের মেয়ে এবং সুবর্ণা আক্তার নারায়ণগঞ্জের মো. রবি শেখের মেয়ে।

পুলিশ ও দুই তরুণী গণমাধ্যমকে জানায়, টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরে তারা ফেসবুকে যুক্ত হন। সেখান থেকে তাদের শুরু হয় কথোপকথন। যা থেকে তাদের একের প্রতি অপরের তীব্র ভালোবাসার টান তৈরি হয়। এভাবে চলতে থাকে ২-৩ মাস। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে পরস্পরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কোরআনের শপথও নেন দুজন।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রেমের টানে গত ১২ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে সুবর্ণা মোংলায় তন্বীর কাছে ছুটে যান এবং নিজেদের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেন। এরপর একসঙ্গে রাত্রিযাপনও করেন। তবে পরদিন সকালে বিয়ের খবরটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বিষয়টি মানতে না পেরে পুলিশকে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ এসে দুজনকে আটক করে।

নিজেদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানিয়ে সুবর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমাদের দুজনের সঙ্গে টিকটকের মাধ্যমে (প্রেমের) সম্পর্ক হয়। আমরা কোরআনকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করেছি। আমি এখন আমার বউকে (সঙ্গিনী) নিয়ে যেতে এসেছি। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না।’

তন্বী আক্তার বলেন, ‘টিকটক থেকে পরিচয় হওয়ার পরে ফেসবুকে তার সঙ্গে অ্যাড হই। পরে সে (সুবর্ণা) একটা গ্রুপে আমাকে অ্যাড করে। আমাকে মজা করে সুবর্ণা বউ বলে ডাকত। সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। পরে কোরআন শরিফ ছুঁয়ে কসম কাটলে আমিও বিয়েতে রাজি হই। তাই সে আমাকে নিতে এসেছে। আমার পরিবার দিলে তার সঙ্গে ঢাকায় যেতে রাজি আছি।’

তন্বীর মা পারভিন বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে ওই মেয়েটি পাগল করে ফেলেছে; মেয়ের সঙ্গে মেয়ের কখনও বিয়ে হয় না। বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে, তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা বিয়ের কোনো বিষয় না। তারা দুজনেই টিকটক করে এবং দুজনই বান্ধবী। বর্তমানে সুবর্ণা পুলিশ হেফাজতে আছে। তার মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

Link copied!