অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে অসংক্রামক রোগে। এই মৃত্যুহার মোকাবেলায় জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই অপর্যাপ্ত বলে এক সাংবাদিক কর্মশালায় এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিএমএ ভবনে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) আয়োজিত “অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাজেট বরাদ্দ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এখাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিতের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলা হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস (বহুমূত্র বা মধুমেয়) ও উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ যা মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। তবে এসব রোগ মোকাবেলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ খুবই সামান্য, মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. এনামুল হক বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জাতীয় বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের সুপারিশ করে। বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী তা ৭ শতাংশ করার সুপারিশ করা হলেও বিগত বছরগুলোতে স্বাস্থ্য বাজেট ৫ শতাংশের মধ্যেই আছে।”
তিনি আরও বলেন, “অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় এখাতে শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থ খরচের ক্ষেত্রে দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে হবে।”
জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, “প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে শুধু কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চরক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ অসংক্রামক রোগ অনেকাংশেই কমিয়ে আনাসহ অসংখ্য জীবন বাঁচানো সম্ভব।”
এতে আলোচক হিসেবে সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জুলহাস আলম, আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন ও কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়েরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মশালা সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রামের সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।