নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানালেন আবদুল হামিদ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০১:৫০ এএম

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানালেন আবদুল হামিদ

দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার বিকেলে তিনি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে ফোন করে এই অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস  সচিব জয়নাল আবেদীন জানান।

বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।ফোনালাপে তারা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন।

এর আগে, মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এ গেজেট প্রকাশ করে।

এর আগে, সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের নাম ঘোষণা করেন।

সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিন একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে দুটো মনোনয়নপত্র পেয়েছি, ‍দুটোই আমরা যাচাই বাছাই করেছি, তার মধ্যে একটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছি। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময় সংসদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। একটির বৈধতা পাওয়া গেছে।

সিইসি বলেন, সেহেতু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। তাঁর উত্তরসূরী হচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালেজাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। ওই সময় হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাও ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওইসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করে, যার প্রধান ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের সবশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্রসন্তানের জনক এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব।

 

 

Link copied!