ব্যবসা নয়, করোনা নিয়ন্ত্রণে আনাই বেইজিংয়ের উদ্দেশ্য: চীনা রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৭, ২০২১, ০১:৩৫ এএম

ব্যবসা নয়, করোনা নিয়ন্ত্রণে আনাই বেইজিংয়ের উদ্দেশ্য: চীনা রাষ্ট্রদূত

ভ্যাকসিন সহযোগিতার বেলায় বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভ্যাকসিন বিতরণে চীনের কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থ নেই। বরং বিশ্বজুড়ে সবার জন্য ভ্যাকসিন সহজলভ্য করে দ্রুততম সময়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনাই চীনের উদ্দেশ্য।

সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (বিসিপিএস) মিলনায়তনে করোনা টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং এসব কথা বলেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন এরইমধ্যে বাংলাদেশকে ২.১ মিলিয়ন বা ২১ লাখ ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন উপহারস্বরূপ দিয়েছে। ৩৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আরও ৮০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে লি জিমিং বলেন, চীনা ভ্যাকসিনকে সবার জন্য সহজলভ্য করা হবে। যাতে করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সহজলভ্য এবং সহজপ্রাপ্য হয়ে উঠে।

তিনি বলেন, ‘চীন সবসময় বিশ্বাস করে জনগণের স্বাস্থ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনভাবেই অর্থনীতি বা রাজনীতি এরচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেতে পারে না’।

করোনা মহামারি মোকবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শি জিনপিং সরকার সহায়তা করে আসছে উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যদিও উৎপাদনের পরিমানের দিক দিয়ে যথেষ্ঠ ভাল অবস্থানে নেই এবং দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে গেছে, তারপরও  আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাধ্যমে চীন একশোর বেশি দেশে করোনার টিকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা রপ্তানি করা হচ্ছে।’ রপ্তানি ও অনুদান মিলিয়ে এই টিকার পরিমাণ ৮০ কোটি ডোজ ছাড়িয়েছে বলেও তিনি জানান।

এছাড়াও বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস(গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকেও চীনের করোনা টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!