সড়কে ঝরল একই পরিবারের ২জনসহ ৪ প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২, ২০২১, ১১:১৮ পিএম

সড়কে ঝরল একই পরিবারের ২জনসহ ৪ প্রাণ

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ও মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুইজনসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৫জন।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বিপুলাসার ইউনিয়নের বিহড়া নামক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতেরা হলেন, রুহুল আমিন, সেলিনা বেগম, মায়মুনা আক্তার। নিহত তিনজনই বিপুলাসার ইউনিয়নের সাইকচাইল গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া নিহত লিটন (৫৫) নবীনগর উপজেলার ডুবাচাইল গ্রামের মৃত কবিরুল ইসলামের ছেলে বলে হাইওয়ে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মাকসুদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, স্বামী-স্ত্রী ও একজন কলেজছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে একুশে এক্সপ্রেসের একটি বাস হিমাচল এক্সপ্রেসের একটি বাসকে ওভারটেক করার চেষ্টা করলে একুশে এক্সপ্রেসের ধাক্কায় একটি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা রুহুল আমিন ও সেলিনা বেগম নামের এক দম্পতি ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মায়মুনা আক্তার নামের আরেক কলেজছাত্রীও মারা যায়। নিহত তিনজনই বিপুলাসার ইউনিয়নের সাইকচাইল গ্রামের বাসিন্দা বলেও  তিনি জানান।

অন্যদিকে, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সংবাদ পরিবহন সংস্থা চাঁদনী পরিবহনের একটি মাইক্রোবাসকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ারবাজার এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপা দিলে চালক লিটন নিহত হয়। নিহত লিটন প্রতিদিন রাজধানী থেকে সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পৌঁছে দিতেন । তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ডুবাইলচর গ্রামের মৃত কবিরুল ইসলামের ছেলে বলে পুলিশ জানায়।

হাইওয়ে ময়নামতি থানার এসআই খোরশেদ আলম গণমাধ্যমে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের কুমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চালক লিটন মারা যান। 

Link copied!