হেনা রাব্বানিকে মোমেন: পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে সম্পর্ক বাড়াতে ওকালতি করবো

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০১:৪৬ এএম

হেনা রাব্বানিকে মোমেন: পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে সম্পর্ক বাড়াতে ওকালতি করবো

১৯৭১ সালে চালানো গণহত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলে  বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ওকালতি করতে রাজী আছেন বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হেনা রাব্বানি খারকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।  

শ্রীলংকা সফর শেষে দেশে ফিরে রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন এসব কথা বলেন।

শ্রীলংকার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে গতকাল (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী কলম্বোতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকের তথ্য জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ টুইট করেন।পরে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী সেটি রিটুইট করেন।

পাশিাপাশি রেডিও পাকিস্তানের এক খবরে বলা হয়, মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক গতিশীল হওয়ায় হিনা রাব্বানি সন্তোষ প্রকাশ করে দুই দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সংযোগ জোরদারের পাশাপাশি পর্যটন এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

রবিবার ওই বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা পরিষ্কার করেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি (হিনা রাব্বানি) আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চান। আমি বলেছি, সম্পর্ক বাড়ানোর একটি বড় উপায় হলো, আপনারা যে গণহত্যা করেছেন ১৯৭১ সালে এটার জন্য আপনারা পাবলিকলি ক্ষমা চান। এটা যদি হয় আমি আপনাদের হয়ে ওকালতি করব সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে। এটা হলে আমি তর্ক করব। তা না হলে আমার জন্য কষ্ট হবে।”

মন্ত্রীর বক্তব্যে পাকিস্তান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জবাব কি ছিল-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, “তিনি একটু এড়িয়ে গেছেন। কোনো উত্তর দেননি। তবে তিনি বলেছেন, তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি বলেছি, আমাদের এখানেও সীমাবদ্ধতা আছে।”

পাকিস্তান কোন কোন খাতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায়-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা ফরেন অফিস কনসালটেন্ট (এফওসি) চাচ্ছে। প্রথমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায়। আমরা বলেছি, আপনারা ব্যবসা করছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ব্যবসাটা একপক্ষীয় হয় গেছে। আমি বলেছি, আপনারা অনেক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছেন; অ্যান্টি ডাম্পিং আছে, এগুলো তুলে নেন।”

কলম্বোয় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, “নেপাল বললো, গত আট বছর ধরে সার্কের সম্মেলন হচ্ছে না। এটা তারা চায়। আমি বলেছি, আপনারা এটা তোলেন। বিষয়টি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাথে আলাপ করেন, তারপরে আমাদের বলেন। সার্কের সম্মেলন নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

Link copied!