আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে খসড়া প্রস্তাবের ওপর ঢাকা অঞ্চলের আপত্তি-পরামর্শ শুনছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট সকালে নির্বাচন ভবনে শুরু হওয়া এ শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত রয়েছেন।
শুনানির সময়ে দাবি আপত্তিকারী বা আবেদনকারীর কৌঁসুলি নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরছেন।
ঢাকা অঞ্চলের ২৮টি আসনের প্রস্তাবিত সীমানা নিয়ে তিন শতাধিক আবেদন রয়েছে। এর মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে উভয়ক্ষেত্রে একাধিক আবেদন থাকলেও একটি আসনে পক্ষে একজন এবং বিপক্ষে একজনের কথা বলার সুযোগ রয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ-১, ২, ৩; মুন্সীগঞ্জ ১, ২, ৩; গাজীপুর ১, ২, ৬; নরসিংদী-৩, ৪, ৫, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪, ৫; আড়াইটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১০, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮ ও ১৯ আসনের শুনানি হবে।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়। আর গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে করা হয় ছয়টি।
শেষদিন বুধবার শুনানি হবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও সিলেট অঞ্চলের। সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পঞ্চগড়-১, ২, রংপুর-১, কুড়িগ্রাম-৪, সিরাজগঞ্জ-২, ৫, ৬, পাবনা-১; আড়াইটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-২, কিশোরগঞ্জ-১, সিলেট-১, ফরিদপুর- ১, ৪, মাদারীপুর-২, ৩, শরীয়তপুর-২ ও ৩ আসনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
১০ অগাস্ট পর্যন্ত ৮৩টি সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে এক হাজার ৭৬০টি আপত্তি-পরামর্শের আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা হয়। শুনানি শেষে এসব আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।
মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে চার আসন দাবি
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জেলা দুটির প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার সকালের শুনানিতে মানিকগঞ্জের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, “২০০১ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলায় চারটি সংসদীয় আসন ছিল। ২০০৮ সালে মানিকগঞ্জে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করা হয়।
“এতে করে সংসদে মানিকগঞ্জের জনগণের প্রতিনিধিত্ব কমেছে। চারটি আসন থাকায় মানিকগঞ্জে যে বরাদ্দ ছিল তা কমে গেছে। আমরা চারটি আসনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি।”
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেন, “আমি এখানে এসেছি মানিকগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। ২০০১ সালের ন্যায় মানিকগঞ্জে চারটি আসনের দাবি- মানিকগঞ্জের সকল স্তরের মানুষের দাবি।”
এদিকে মুন্সীগঞ্জের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক খায়রুল বারী রনি বলেন, “মুন্সীগঞ্জের এখন তিনটি আসন রয়েছে। এর আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০১ সালের মতো চারটি আসন করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।”