অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সুপারিশ একপেশে এবং তা জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য তারা গণভোটে সম্মতি দিয়েছিলেন। তবে ঐকমত্য কমিশন যেখানে মতপার্থক্য বা ভিন্নমত ছিল তা উপেক্ষা করেছে এবং এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে যা দীর্ঘ আলোচনায় কখনোই আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশ একপেশে এবং জবরদস্তিমূলকভাবে জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এটাই প্রতীয়মান হয় যে দীর্ঘ প্রায় এক বছরব্যাপী সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলসমূহের দীর্ঘ ধারাবাহিক আলোচনা ছিল অর্থহীন, অর্থ ও সময়ের অপচয়, প্রহসনমূলক এবং জাতির সাথে প্রতারণা।’
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অযৌক্তিক, অবিবেচনাপ্রসূত বলেও সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব।
সীমিত সময়, বিপুল ব্যয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ব্যাপক সম্পৃক্ততার কথা বিবেচনা করে গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে আয়োজন করাই অধিকতর যৌক্তিক হবে বলেও মত দেন বিএনপি মহাসচিব।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, `জুলাই সনদ নিয়ে আপত্তি থাকলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো শঙ্কা নেই। আমরা আশা করি আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় অনেক ছাড় দিলেও দেশের স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে দায়বদ্ধ বিএনপি। জাতিকে বিভক্ত করার যেকোনো পদক্ষেপ অনৈক্য সৃষ্টি করবে এবং জাতীয় জীবনে অকল্যাণ ডেকে আনবে। আমরা চাই ঐক্য, প্রতারণা নয়।
সংস্কার বিএনপির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে বহু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে। আমরা সবসময়ই সংস্কারের পক্ষে। শহীদ জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, খালেদা জিয়ার ভিশন–২০৩০ এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা—সবই প্রমাণ করে বিএনপি গণতান্ত্রিক সংস্কারে আন্তরিক।