নির্বাচনে চার কারণে ড্রোন নিষিদ্ধ করল ইসি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

নির্বাচনে চার কারণে ড্রোন নিষিদ্ধ করল ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

কমিশন বলছে, গোপনীয়তা লঙ্ঘন, নিরাপত্তার ঝুঁকি, আইন ও বিধি লঙ্ঘন এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরির আশঙ্কায় নির্বাচনের সময় ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। এতে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভায় উপস্থাপিত ইসির কার্যপত্রে বলা হয়, ড্রোন আধুনিক প্রযুক্তি হলেও নির্বাচনকালে এটি নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দিকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ড্রোন ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র, ভোটারদের ব্যক্তিগত স্থান ও অফিস পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব, যা ভোটের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।

এছাড়া অননুমোদিত ড্রোন ব্যবহার করে বিস্ফোরক বা বিপজ্জনক বস্তু বহনের মাধ্যমে হামলার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। ড্রোন পরিচালনায় আইনগত নিয়ম থাকলেও তা অনেকেই মানেন না। ফলে অনিয়ন্ত্রিত ড্রোন উড্ডয়ন নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি, ড্রোনের মাধ্যমে ভোটদানের ছবি বা ভিডিও ধারণ করে তা অপব্যবহার করা হতে পারে, যা নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

সভায় জানানো হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিনটি পর্যায়ে কাজ করবে। তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনপূর্ব পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত সময়কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি। এই সময় প্রার্থীদের নির্বিঘ্নে প্রচারণা এবং ভোটারদের নিরাপদে ভোটদানের পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, সশস্ত্র বাহিনী ও গ্রাম পুলিশ। এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাচনি তদন্ত কমিটি মাঠে থেকে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করবেন।

ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, দল নিবন্ধন ও ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুতসহ বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে।

Link copied!