দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ- ০১ (রূপগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে এসপি ও ওসির যোগসাজসে সাধারণ ভোটারদের হুমকি, মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে নিজস্ব কর্মীর ন্যায় নির্বাচনী কর্মতৎপতায় অংশ নেয়ার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া।
সোমবার (১ জানুয়ারি )আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে এই অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ পত্রে শাহজাহান ভূঁইয়া জানান, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কেটলি মার্কা নিয়ে সংসদ সদস্য পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে আমি এবং আমার কর্মী সমর্থকরা প্রতিনিয়ত নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্থানীয় সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল। নৌকার প্রার্থীর লোকেরা যে শুধু বাধা দিচ্ছে তাই নয়, ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় আয়েশা আক্তার নামে এক নারীর উপর হামলা ও মারধর করেছে তার সন্ত্রাসীরা। দাউদপুরে আমার অস্থায়ী নির্বাচনী প্রচারণা কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া কর্মী সমর্থকদের প্রতিনিয়ত গোলাম দস্তগীর গাজীর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আর এই সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম। তিনি শুধু হুমকিই নয় এসব কর্মীদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো আমার কর্মী সমর্থকদেরকে ভয় দেখানো, এলাকা থেকে বিতারিত করা এবং মিথ্যে মামলায় জড়াচ্ছে। আর এই কাজে সরাসরি ইন্ধন দিচ্ছে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ চন্দ্র সাহা এবং নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি)গোলাম মোস্তফা।
অভিযোগ পত্রে শাহজাহান ভূঁইয়া আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের এসপি ও রূপগঞ্জের ওসি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের কাছ থেকে মোটা টাকা ঘুষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন। প্রকাশ্যে আমার নির্যাতিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ না নিয়ে উল্টো রাতের বেলা তাদের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখাচ্ছে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা সাধারণ জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমি নারায়ণগঞ্জের এসপি ও রুপগঞ্জের ওসির দ্রুত প্রত্যাহার দাবি করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন এসপি ও ওসি নিয়োগ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
সার্বিক বিষয়ে উপযুক্ত তদন্ত করে এখনই এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।