সদস্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে করবে কি না, তা জনগণই ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি কাউকে নির্বাচনে আনতে চায়-এমন কথা তিনি বলেননি বলেও দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব।
বুধবার দুপুরে ফেনীর ফুলগাজীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণের পর বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা রাজনীতি করবে আর কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছুই না।”
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের পর।
ড. ইউনূস বলেন, “এটা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি, এবং বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) বলেছে, সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সুতরাং তারা ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামত অগ্রাহ্য করতে পারি না। আমি রাজনীতিবিদ নই যে এ দল বা অন্য দল বেছে নেব। আমি রাজনীতিবিদদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছি।”
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম
সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে।
অর্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে রাতারাতি সব পরিবর্তন সম্ভব না। নতুন সরকারকে জঞ্জাল পরিষ্কারে সময় দিতে হবে। সরকারকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় নেত্রী রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান