জানুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে দেয় জনগণ এই প্রহসন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ধরনের জনমানবহীন গণতন্ত্র এর আগেও দেশে এসেছিল তবে বিএনপি সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ করেছে। সরকার ইচ্ছা করেই ভোটার বিমুখ নির্বাচন চেয়েছে যেন কেউ ক্ষমতায় থাকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ না করতে পারে। ’
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির তালাবদ্ধ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুইটি প্রেস নোট উপস্থাপন করা হয়। একটিতে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সার্বিক অবস্থা অপরটিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরবেন। তবে নতুন আন্দোলনের কোন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয় নি।
প্রথম প্রেস নোটে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির সর্বশেষ নির্বাচনে আমরা এমন ঘটনা দেখেছি। যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই, সেখানে সংসদে তথাকথিত বিরোধী দল হিসেবে কাজ করেছে। যারা নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত করেছিল তারা হয় সরকারী দলের মনোনীত প্রার্থী বা তারা দলীয় প্রধানের আশীর্বাদে একই দলের পণ্য, তাদের ভাষায় ডামি প্রার্থী বা তথাকথিত স্বতন্ত্র।
কিন্তু ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ তাদের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও ঘৃণ্য পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদালতের আদেশকে স্থায়ীভাবে ক্ষমতা দখল ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে ব্যবহার করে।
তাদের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও ঘৃণ্য পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখতে এবং তার কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধান থেকে অপসারণ করা হয়, একটি নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্ম দেয় যেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পদত্যাগ ছাড়াই। সংবিধানে এত বড় পরিবর্তনের জন্য অপরিহার্য গণভোট ব্যবস্থাও তারা সরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শুরু থেকেই এসব গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছে। দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চুরির ঘটনায় গভীর বেদনা ও যন্ত্রণায় ভুগছে।
দেশের জনগণ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ হারিয়েছে এবং এই ষড়যন্ত্রমূলক সরকার প্রথম থেকেই ভোটের অধিকারকে অর্থহীন করে ভোট থেকে বিমুখ করতে চেয়েছে যাতে তাদের ক্ষমতায় থাকা প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। .