আগস্ট ১১, ২০২৪, ১০:১৬ এএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুজন উপদেষ্টা দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ পাঠ করবেন। তাদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। রোববার (১১ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট রাতে বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ অন্যান্য ১৩ উপদেষ্টা শপথ নেন। ঢাকার বাইরে থাকায় ফারুক-ই-আজম, বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা- এই ৩ উপদেষ্টা সেদিন শপথ নিতে পারেননি। সেই কারণে ধারণা করা হচ্ছে তারা আজই শপথ নেবেন। তবে ফারুক-ই-আজমের শপথ নেওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া একই দিন প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদেরও শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় আরও ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেন। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন. ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ, ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এরই মধ্যে শপথ নেওয়া প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ ২৭টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। এসব মন্ত্রণালয় হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন ও সেতু, খাদ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি, বস্ত্র ও পাট, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেল, জনপ্রশাসন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নৌ-পরিবহন, পানি সম্পদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি বিষয়ক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা, ড. আসিফ নজরুল আইন, আদিলুর রহমান খান শিল্প, হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, শারমীন এস মুরশিদ সমাজকল্যাণ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন স্বরাষ্ট্র, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ধর্ম, ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যথাক্রমে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।