ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস বিনির্মাণে দলটির রয়েছে সংগ্রামী ঐতিহ্য।
জিন্নাহর সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ হয় বর্তমান ক্ষমতার মসনদে থাকা আওয়ামী লীগের। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে করা হলো দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকেই অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ নেতারা পূর্ব পাকিস্তানের গণমানুষের প্রতিনিধিত্বকারী একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তারা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে পশ্চিমের শাসক গোষ্ঠী কস্মিনকালেও বাঙালির আকাঙ্ক্ষা মূল্যায়ন করবে না। তারা শুধু বঞ্চনা আর বৈষম্যই করে যাবে। ঠিক এই কারণেই তদানীন্তন পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিপক্ষ গণতন্ত্র ও গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পাকিস্তানি শাসকদের সামনে তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আওয়ামী লীগ।
শুরুতে অবশ্য এই দলের সঙ্গে ‘মুসলিম’ শব্দটি যুক্ত ছিল। পাকিস্তানের তদানীন্তন রাজনৈতিক আবহাওয়া এবং ধর্মীয় মেরুকরণ উপলব্ধি করেই পূর্ব পাকিস্তানের তদানীন্তন গণমানুষের অধিকারের সপক্ষের প্ল্যাটফর্মটির নাম রাখা হয়েছিল- ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ, শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেককেই দলটির প্রথম কমিটিতে রাখা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামী ইতিহাস ও ঐতিহ্যে একদিকে আছে আওয়ামী মুসলিম লীগ তথা আওয়ামী লীগের অবদান, অন্যদিকে আছে তফাজ্জল হোসেন ‘মানিক মিয়া’ সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার। পরবর্তীতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে গণঅধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম আর দৈনিক ইত্তেফাক গণমানুষের কথা তুলে ধরার প্ল্যাটফর্ম।
আওয়ামী লীগ যেভাবে হয়ে উঠল জনগণের দল
ফারসি ‘আওয়াম’ শব্দের সঙ্গে ই-প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গঠিত ‘আওয়ামী’ শব্দের অর্থ ‘জনগণ’। আর ‘লীগ’ শব্দের অর্থ ‘দল’। দুটো পৃথক ভাষার শব্দ। একটি এদেশের ধর্মীয় খাসমহলের ফারসি, অন্যটি সুদূর পাশ্চাত্য থেকে আমদানি করা ইংরেজি। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ১৯৩৭ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন তদানীন্তন কৃষক-প্রজা পার্টি। যা পরে কৃষক-শ্রমিক পার্টিতে পরিণত হয়।
১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কৃষক-প্রজা পার্টি ৩৯ এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ ৩৮টি আসন লাভ করে গঠন করে কোয়ালিশন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী করা হয় শেরে বাংলা ফজলুল হককেই। অন্যদিকে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি খাজা নাজিমউদ্দিন এই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী হন। চার বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয় ১৯৩৭ সালে গঠিত শেরে বাংলার সরকার।
১৯৪৩ সালে শ্যামাপ্রসাদ সরকারের পদত্যাগের পর সরকার গঠন করে মুসলিম লীগ। খাজা নাজিমউদ্দিন এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শ্রম ও সিভিল সাপ্লাইমন্ত্রী। মুসলিম লীগের ভেতরে অন্তর্কোন্দল ও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এই সময় থেকেই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে দুটি ধারাও তৈরি হতে থাকে। একটি ধারা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্ব প্রগতির দিকে, অন্যটি খাজা নাজিমউদ্দিনসহ ঢাকাই নবাব পরিবার এবং তার সমর্থক গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার প্রভাব। এই সময়ে নিজের দলীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি আবুল হাশেমকে দিয়ে দেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে খাজা নাজিমউদ্দিনকে নিযুক্ত করতে কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহর আশীর্বাদ ছিল। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার নাজিমউদ্দিনের প্রতি সদয় ছিল।
খাজা নাজিমের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সরকার পরিচালনার দক্ষতার ওপর মুসলিম লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সন্দেহ ছিল। এই সন্দেহই বাস্তবে পরিণত হয়। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই স্বজনপ্রীতিতে লিপ্ত হয়ে পড়েন খাজা নাজিমউদ্দিন। এর প্রভাবে দেখা দেয় ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষ। এই দুর্ভিক্ষের জন্য নাজিমউদ্দিনকেই দায়ী করা হয়ে থাকে। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৫ সালেই খাজা নাজিমউদ্দিনের সরকারের পতন হয়।
১৯৪৬ সালে বাংলার সবশেষ প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের নৈপুণ্যে প্রাদেশিক মুসলিম লীগ ১১৭ আসনের ১১৩টিতে জয় পায়। ইতিহাসবেত্তা ও তদানীন্তন রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলেন, রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অতুলনীয়। ১৯৩৭ সালের পর থেকেই মুসলিম লীগকে ‘জনগণের সংগঠনে’ রূপান্তরের চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। স্বার্থহানির আশঙ্কায় মুসলিম লীগের রক্ষণশীল অংশ বিরোধিতা শুরু করেন। অন্যদিকে সাধারণ ছাত্ররা সংগঠনটিকে ‘জনগণের সংগঠনের রূপান্তরের’ চেষ্টার এই পদক্ষেপকে ভালোভাবেই নেয়। এই সময় থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র নেতা শেখ মুজিব হয়ে উঠতে থাকেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে জয় পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনিই ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী।
দেশভাগের প্রেক্ষাপট এবং আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার চিন্তা
ভারতবর্ষজুড়ে ক্রমবর্ধমান হাঙ্গামা ও অরাজকতার প্রভাবে হিন্দু ও মুসলিমদের বিবাদ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয়। যা দেশভাগের বাস্তবতাকে ত্বরান্বিত করে তোলে। কলকাতা দাঙ্গায় শত শত হিন্দুকে হত্যার ঘটনায় এখনও অনেকেই সোহরাওয়ার্দীকেই দায়ী করে থাকেন। যদিও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন পরিস্থিতির শিকার। কেন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন- সেটা নিয়ে না হয়, আরেকটি লেখায় আলোকপাত করা যাবে। পরের লেখার জন্যই তোলা থাক সেটা। এখানে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও দাঙ্গা এবং ফলশ্রুতিতে দেশভাগ- মোটা দাগে এসবের ফলাফল ১৯৪৭ সালের দেশভাগ।
দেশভাগের কারণে ভারতের বহু মুসলিমকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে পাকিস্তানে চলে আসতে হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানেও শুরু হলো বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের উন্নাসিকতা এবং পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতি শোষণ-বঞ্চনা আর বৈষম্য ধীরে পাকিস্তানের প্রতি মোহ ভেঙে দিলো। পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রগতিশীল নেতারা এদেশে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে থাকেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ তথা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার। ১৯৪৭ সালের ২৩ জুন গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। এই দিনই পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় পরাজিত করা হয়েছিল। বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী এই প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য তাই এই তারিখকেই বেছে নেওয়া হয়।
‘মুসলিম’ শব্দ ছেড়ে যেভাবে হলো অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগ
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পরামর্শ অনুযায়ী মওলানা ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রথম প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কারাবন্দী অবস্থায়ই তরুণ ছাত্র নেতা শেখ মুজিবকে করা হয় যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিল অধিবেশন হয়। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দলটি পাকিস্তানের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করে। এই নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ২৩৭টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এরপর ১৯৫৫ সালে ঢাকার সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলে তৃতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে ‘আওয়ামী লীগ’ শব্দ যুগলের মধ্য থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এতে আগেরবারের মতো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহাল থাকেন।
আওয়ামী লীগে ভাঙন
১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে দলের আন্তর্জাতিক নীতির প্রশ্নে সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানির মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায় প্রথমবারের মতো ভেঙে যায় আওয়ামী লীগ। মওলানা ভাসানির নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। মূল দল আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমানকে বহাল রাখা হয়।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে ইস্কান্দার মির্জা সামরিক শাসন জারি করেন এবং বিরোধী দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড স্থগিত হয়ে যায়। এরপর আবার দলটি পুনরুজ্জীবিত হয় ১৯৬৪ সালে। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তর্কবাগীশ ও শেখ মুজিবুর রহমানই বহাল থাকেন। ৬৬’র কাউন্সিলে দলের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দীন আহমদ।
যুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ
১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকেন। এই কমিটির মাধ্যমেই স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। স্বাধীনতাউত্তর ‘৭২ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। ‘৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্বেচ্ছায় সভাপতি পদ ছেড়ে দিলে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘৭৫-এ কারাগারে নিহত জাতীয় নেতাদের একজন এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন মো. জিল্লুর রহমানই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ওপর হানা হয় মারণছোবল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। এই সময়ে আবারও স্থগিত করা হয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নয়বার দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চারবার ও আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ তিনবার আওয়ামী লীগ সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বঙ্গবন্ধু পাঁচবার, তাজউদ্দীন চারবার, জিল্লুর রহমান ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী তিনবার করে দায়িত্ব সামলেছেন। আব্দুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুইবার করে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।
বহু ঘাত-প্রতিঘাত আর ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজকের আওয়ামী লীগ জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায় সুউচ্চ স্থানে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে ক্ষমতাসীন এই দল বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে। ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র রুখে বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। ‘৪৭’র ভারত বিভক্তি, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন, ‘৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ‘৬৬’র ছয় দফা, ‘৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০’র যুগান্তকারী নির্বাচনী ম্যান্ডেট এবং সবশেষে ‘৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধ- সবখানেই সরব ছিল আওয়ামী লীগ। কখনও রাজপথে মিছিলের শ্লোগানে, আবার কখনও সময়ের প্রয়োজনে যুদ্ধের মাঠে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে এদেশের মানুষের আজন্ম লালিত স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ।