সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম
দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপাথি বিজয় অভিনীত ‘থেরি’, ‘মার্শাল’, ‘বিগিল’-এর মতো ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা দেখেননি এমন দক্ষিণী মুভি লাভার কমই আছে।
সেই সব ছবিগুলো বক্স অফিস থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এই ছবিগুলো পরিচালনা করেছেন ৩৬ বছর বয়সী অ্যাটলি কুমার। অ্যাটলি সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের জাওয়ান সিনেমারও পরিচালক। এই প্রথমবার তিনি বলিউড কাজ করলেন।
তবে ছবি পরিচালনার পাশাপাশি নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা আছে অ্যাটলির। ‘অন্ধঘরম’-এর মতো তামিল ছবির প্রযোজনাও করেছেন তিনি।
অ্যাটলি পরিচালিত ‘জওয়ান’ ছবিটি মুক্তির আগে থেকেই হিট। আর মুক্তির পর ভারতবর্ষের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়েছে জওয়ান। প্রথম দিনের আয়, পাঠান সিনেমার চেয়েও বেশি।
অ্যাটলি যখন তাঁর বান্ধবী কৃষ্ণপ্রিয়াকে বিয়ে করেন, তখন দুজনেই ইন্ডাস্ট্রিতে সংগ্রাম করছিলেন। অ্যাটলি তখন গল্প আর চিত্রনাট্য নিয়ে প্রযোজকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরতেন। অন্যদিকে কৃষ্ণাপ্রিয়া তামিল ইন্ডাস্ট্রির ধারাবাহিকে অডিশন দিতেন।
নিজের কালো বর্ণের কারণে এত বেশি ট্রল হয়েছেন এই পরিচালক, নির্বাক হয়ে সয়ে গেছেন। তার কোনো উত্তর দেননি। উত্তর দিয়েছেন নিজের সিনেমা দিয়ে।
২০১০ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে অ্যাটলি কুমারের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল দক্ষিণের বিখ্যাত পরিচালক শংকরের সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রায় পাঁচ বছর সহযোগী পরিচালক থেকে সহকারী এবং সর্বশেষ প্রধান সহকারী হিসেবে পরিচালক শংকরের আস্থা অর্জন করেছিলেন অ্যাটলি।
২০১৩ সালে আর্য এবং নয়নতারা অভিনীত রোমান্টিক ড্রামা ফিল্ম ‘রাজা রানী’র মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় অ্যাটলির। সিনেমাটির মাধ্যমে সেরা নবাগত পরিচালকের পুরস্কার ‘বিজয় অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিলেন তিনি।
২০১০ সালে মুম্বাইয়ে শাহরুখের মান্নাতের গেটে ছবি তোলার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাটলির জন্য ঠিক ১০ বছর পর মান্নাতের গেট খুলে গিয়েছিল। ‘জওয়ান’-এর চিত্রনাট্য নিয়ে মান্নাতে প্রবেশ অ্যাটলির ক্যারিয়ারে নতুন মাইলফলক যুক্ত করে। বলিউড বাদশাহর কাছে অনেক অফার ছিল, এর পরও তরুণ অ্যাটলির চিত্রনাট্যে বিশ্বাস রেখেছিলেন শাহরুখ।
এদিকে ‘জওয়ান’ সিনেমার কাহিনী নকল করার অভিযোগ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এক্স-এ একজন অভিযোগ করেছেন, অ্যাটলি ১৯৮৯ সালের তামিল চলচ্চিত্র থাই নাডু যার অর্থ মাতৃভূমি, এর প্লট অনুসরণ করে বানানো।
ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পুরো কাহিনী মেরে দেওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়। রিমেক ছবির সরাসরি। সবকিছু উপেক্ষা করে অ্যাটলি প্রমাণ করেছেন, গায়ের রং কারও যোগ্যতা হতে পারে না। একজন ব্যক্তিকে যে তার বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিতে বিচার করা উচিত নয়, তারই প্রমাণ অ্যাটলি।