৭২ বছরে পা রাখলেন রুনা লায়লা

শোবিজ ডেস্ক

নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম

৭২ বছরে পা রাখলেন রুনা লায়লা

ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের একজন স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। শুক্রবার ( ১৭ নভেম্বর ) জীবনের ৭১ বসন্ত পেরিয়ে ৭২-এ পা দিলেন সুরের পাখি খ্যাত এই শিল্পী।

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন তিনি। বাংলা, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, ইংরেজিসহ ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান করেছেন দমাদাম মাস্ত কালান্দার খ্যাত গুণী এই তারকা শিল্পী। 

উপহার দিয়েছেন "বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম দেখা পাইলাম না", "আল্লাহ মেঘ দে পানি দে", "ইস্টিশনে রেলগাড়িটা", "সাধের লাউ", "খাঁচার ভিতর অচিন পাখি" সহ জনপ্রিয় অগণিত বাংলা গান। কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা বাংলার পাশাপাশি আরও অনেক ভাষায় গান গেয়ে বিশ্ব মাতিয়ে রেখেছেন। সংগীতপ্রেমীদের সুরে মুগ্ধ করে যাচ্ছেন টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে। 

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা সংগীতশিল্পী। তার স্বামী আলমগীর বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।

জন্মদিন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘জন্মদিন এলে বেশ ভালোলাগে। সবাই বিশেষ এই দিনটিতে আমাকে মনে করেন। বিশেষত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানান জন নানান কথা লিখেন খুব গুছিয়ে। সেসব কথা আমি মন দিয়ে পড়ি।  এখনো অনেকে নতুন নতুন গানের জন্য অনুরোধ করেন। এটাও ভালো লাগার। 

শিল্পী হিসেবে নতুন গানতো আমি করতেই চাই। এখনতো আসলে আগের মতো সবসময় নতুন নতুন গান করা সম্ভব না। তবে আমি ভালো গীতিকবিতা যেমন পছন্দ করি , সুরটাও আমার ভালোলাগতে হবে। যদি দুটো বিষয় ব্যাটে বলে মিলে যায় তাহলে অবশ্যই গাইবো। 

যেমন গেলো বছরের শেষপ্রান্তে আমি নতুন একটি দেশাত্ববোধক গান গেয়েছি। জন্মদিন এলে আব্বা আম্মার কথা খুব মনে পড়ে। মনে পড়ে আমার বোন দীনা লায়লা’র কথা। সবাই আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।’

রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স, তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে পাকিস্তানের মুলতানে যান। সেই সূত্রে তার শৈশব কাটে লাহোরে। ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে গান গাইতেন। রুনা লায়লার সংগীতশিল্পী নয়, হওয়ার কথা ছিল নৃত্যশিল্পী। টানা চার বছর করাচির বুলবুল ললিতকলা একাডেমির ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শেখেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গানের মাঝেই থেকে যান।

দীর্ঘ সংগীতজীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার। এ ছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক। 

Link copied!