নেতৃত্ব তার রক্তে। সেটা ক্রিকেটের মাঠে হোক কিংবা সাংসদ হিসেবেও। ক্রিকেট এখনও ছাড়েননি। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে ফেলেছেন আগেই। তবে ঘরোয়া আসরে খেলবেন। বাংলাদেশের মানুষের আবেগের অন্য নাম মাশরাফি। আজ তার ৩৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইলে পৃথিবীর আলো বাতাসে আসেন। মাশরাফিকে ভোলার কোনো অবকাশ নেই। কারণ শুধু অধিনায়কই নন। দলের সদস্যদের আগলে রাখতেন তিনি। সাংসদ হওয়ার পর দায়িত্ব বদলেছে কিন্তু নড়াইলে মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকেন তিনি। সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে নিয়মিত। এখানেও তিনি দ্য লিডার।
ছোটবেলা থেকেই তিনি বাঁধাধরা পড়াশোনার পরিবর্তে ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন, আর মাঝে মধ্যে চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটা। তারুণ্যের শুরুতে ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহ জন্মে, বিশেষত ব্যাটিংয়ে; যদিও এখন বোলার হিসেবেই তিনি বেশি খ্যাত, যেজন্যে তাকে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামেও অভিহিত করা হয়।
বাইকপ্রিয় মর্তুজাকে সবাই খুব হাসিখুশি আর উদারচেতা মানুষ হিসেবেই জানে। প্রায়শঃই তিনি বাইক নিয়ে স্থানীয় ব্রিজের এপার-ওপার চক্কর মেরে আসেন। নিজের শহরে তিনি প্রচণ্ড রকমের জনপ্রিয়। এখানে তাকে “প্রিন্স অব হার্টস” বলা হয়। এ শহরেরই সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় সুমনা হক সুমির সাথে তার পরিচয় হয়। দু’জনে ২০০৬ সালে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন।
২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন মাশরাফি। ৬ থেকে ৭ বার পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ায় ক্যারিয়ার ঝড়ের মধ্যে পরেছে বারবার। ৩৬ টেস্টে তার ৭৮ উইকেট। বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক ওয়ানডেতে বিশেষ অর্জন। সবচেয়ে বেশি জয় তার অধীনে। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন মাশরাফি। ২২০ ম্যাচে তার ২৭০ উইকেট। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৫৪টি সেখানে তার ৪২ উইকেট।
বর্তমানে মাশরাফি নড়াইলের সাংসদ। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন। তার ইচ্ছা আছে বাংলাদেশের তরুণ খেলোয়াড়দের বোলিংয়ে কোচিং করাবেন।