দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরে গেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তাই সিরিজের শেষ ম্যাচটি দাঁড়িয়েছে অলিখিত ফাইনালে। মাহমুদউল্লাহ জানালেন এক ম্যাচ হারাতে দল খারাপ হয়ে যায়নি। দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
আপনাদের মনোযোগ ছিল কী না...
মাহমুদউল্লাহ: আত্মতুষ্টিতে ভুগছি এমন কোনো মনোভাব মাঠে আমাদের ছিল বলে মনে হয় না। এই ম্যাচের জন্যও আমাদের পূর্ণ মনোযোগ ছিল এবং ভালো করতে প্রত্যয়ী ছিলাম। হয়তবা পরিকল্পনা ঠিকমত কাজে লাগাতে পারিনি। এ কারণে ম্যাচটা হেরেছি।
লিটনের ইনজুরির কী অবস্থা...
মাহমুদউল্লাহ: আগের ম্যাচে লিটন আমাদের ওপেনার ছিল, ইঞ্জুরড হয়ে যায়। সৌম্য ও নাঈম ভালো একটি পার্টনারশিপ গড়েছিল। কোচ বলেছিলেন ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন থাকলে ভালো হবে। আজকের ম্যাচেও দলের পরিকল্পনা ওরকমই ছিল। মেহেদী ঘরোয়া ক্রিকেটে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে, তাই তাকে ওয়ান ডাউনে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আজ আমরা ক্লিক করতে পারিনি। কোনো বড় পার্টনারশিপ করতে পারিনি। ১৬০ রানেরও বেশি তাড়া করতে গেলে ভালো শুরু গুরুত্বপূর্ণ। তা করতে পারিনি বলেই ফলাফল পক্ষে আসেনি।
অভিষেক ম্যাচে শামীমকে দেখা...
মাহমুদউল্লাহ: শামীম বাংলাদেশের ক্রিকেটে অসাধারণ ট্যালেন্ট। আমি মনে করি আজ ওর অভিষেক ভালো হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা জিততে পারিনি। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে শামীম খুব ভালো করেছে। শেষ করে আসতে পারলে ওরও ভালো লাগত দলেরও কাজে লাগত। একটা ওভার বোলিংও করেছে। আমি মনে করি সে দারুণ একজন অলরাউন্ডার।
দলের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ...
মাহমুদউল্লাহ: ব্যাটিং এপ্রোচ নিয়ে আমি হতাশ নই। ১৬০ রান তাড়া করতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হবে। দ্রুত ২-৩ উইকেট হারিয়ে ফেলায় চাপে ছিলাম। এরপরও উইকেট হারাচ্ছিলাম। একটা ৩০ আর একটা ৫০ রানের পার্টনারশিপ হলে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যেত।
শেষ ম্যাচ নিয়ে কী ভাবনা..
মাহমুদউল্লাহ: একটা ম্যাচে ভালো খেলতে পারিনি মানে এই না আমরা খারাপ দল হয়ে গিয়েছি। আজকে ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো খেলতে পারিনি। ফিল্ডিংয়ে কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। সুযোগ কাজে লাগালে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন হয়। পরের ম্যাচে এই ভুলের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই লক্ষ্যই থাকবে। যেহেতু একটা ম্যাচ আছে, ফাইনাল ম্যাচ হিসেবেই খেলব। ম্যাচ জেতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।