বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে এই খবর নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
ডমিঙ্গোর সাথে বিসিবির চুক্তি ছিল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। চুক্তি শেষের ১১ মাস আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারের পর থেকেই ডমিঙ্গোর বিদায়ের কথা শোনা যাচ্ছিল। জালাল ইউনুস সেদিনই জানিয়েছিলেন, কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। তবে খোলাসা করে সেদিন কিছু জানা যায়নি। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো- সরে দাঁড়িয়েছেন ডমিঙ্গো।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসেন রাসেল ডমিঙ্গো। পদত্যাগের একদিন আগেই ডমিঙ্গোর পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এক অনুষ্ঠানে বলেন, যে যতই বলুন না কেন, রাসেল ডমিঙ্গোর পাল্লাটা কিন্তু অনেক ভারী।
ডমিঙ্গোর অধীনে বেশ কিছু স্মরণীয় জয় আসে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় টিম টাইগার্স। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে আসে স্মরণীয় জয়। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জয় এবং সবশেষ ভারতের পূর্ণ শক্তির দলকে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারানোর মতো সাফল্যও আসে আফ্রিকান এই কোচের অধীনে।
তবে ব্যর্থতার পাল্লাও হালকা নয় ডমিঙ্গোর। তাঁর অধীনে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল আশানুরূপ জ্বলে উঠতে পারেনি। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আসরে একটি ম্যাচও জেতেনি বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক টেস্ট জিতলেও অন্য সময়গুলোতে নড়বড়ে পারফরম্যান্স দেখা যায় সাদা পোশাকের ক্রিকেটে।
আর তাই ডমিঙ্গোর ওপর আস্থা কমতে থাকে বিসিবির। তারই ধারাবাহিকতায় গত এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শ্রীধরন শ্রীরামকে কাগজে-কলমে ‘টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট’ পদবির আড়ালে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। অবস্থা বুঝতে পেরে সরে দাঁড়ালেন ডমিঙ্গো নিজেই।