জানুয়ারি ২, ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম
মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্বে আসেন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর থেকে এই দায়িত্ব আর হাতছাড়া করেননি তিনি। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের আগে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের ফিফার র্যাংকিং ছিল ১৫১। গত ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ ফুটবলকে নামিয়েছেন ১৯৭তম স্থানে।
তাঁর দায়িত্বে ফুটবল দলের এমন অবনমন হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পদত্যাগ করেননি তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বিএসপিএ তাঁকে দ্বিতীয় সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার দিলে তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করেন। জানা যায়, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে প্রথম স্থানে রেখে তাঁকে দ্বিতীয় ঘোষণা করায় ‘রাগ’ করেছেন তিনি। পরে বাফুফের সভা ডেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করিয়েছেন বাফুফের এই সভাপতি।
এসবের পরই প্রশ্ন ওঠে টানা ১৪ বছর বাফুফের সভাপতি থাকার পরও ফিফার র্যাংকিংয়ের এই অবস্থা আর তিনি কীভাবে সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ? ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের ফিফার র্যাংকিং ছিল ১৫১। ২০০৮ সালে কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের মসনদে বসার পর বাংলাদেশের র্যাংকিং হয় ১৬৮। একবার ১৮৩ নম্বরেও নেমে যায়। এর মাঝে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা র্যাংকিং ছিল ১৩৮, আর ২০১৬ সালে খারাপ র্যাংকিং আসে ১৮২।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবলের গুণগত মান কতটা নিম্ন অবস্থানে আছে তা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৯৭ নম্বরে নেমে আসে বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে সর্বশেষ প্রকাশিত ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২।
বাংলাদেশ দলের খেলার মানের কারণে নয় বরং কালেভদ্রে দুই-একটি ম্যাচ জিতে গেলে বা তালিকায় থাকা অন্য কোনো দলের হারে বাংলাদেশের র্যাংকিংয়ে উন্নতি দেখা যেত।
যেখানে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের র্যাংকিংয়ের এই হাল সেখানে বাফুফে সভাপতির এই সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ হওয়ার খায়েশ কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।