‘ঝাঁসী কি রানী’র অমর স্রষ্টার প্রয়াণ দিবসে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৭:০২ পিএম

‘ঝাঁসী কি রানী’র অমর স্রষ্টার প্রয়াণ দিবসে

হিন্দি সাহিত্যর অন্যতম প্রধান কবি সুভদ্রা কুমারী চৌহানের মৃত্যুদিন আজ। অমর কবিতা ‘ঝাঁসী কি রানী’র স্রষ্টা চৌহান ১৯৪৮ সালের এ দিনে পরলোক গমন করেন।

কবি সুভদ্রার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় কবিতা রয়েছে। তার বিখ্যাত রচনা ‘ঝাঁসী কি রানী’। অবিভক্ত ভারতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ঝাঁসির রানী লক্ষ্মী বাইয়ের সংগ্রামী জীবন নিয়ে আবেগি ভাষায় রচিত এটি ভারতে সবচেয়ে বেশি পঠিত কবিতা। ইংরেজদের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে লক্ষ্মী বাইয়ের অংশগ্রহণের এক আবেগী বিবরণ রয়েছে কবিতাটিতে।  ভারতের প্রায় সব স্কুলেই এই কবিতাটি  পড়ানো হয় । বিদ্রোহী কবি নজরুলের কবিতার মতো এটিও পরাধীন অবিভক্ত ভারতের তরুণদের ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দারুণভাবে অনুপ্রাণীত করেছিল। কবিতা ছাড়াও তিনি শিশুদের জন্য ছড়া, গীতি কবিতা, অনুবাদ ও ছোট গল্প লিখেছেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আইন পরিষদের সাবেক এই সদস্য।

ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত সুভদ্রা কুমারী চৌহান ১৯০৪ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৯ সালে মাধ্যমিক পাশ করার পর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তার শিক্ষাজীবনে আর ফেরা হয়নি।

ভারতের প্রথম নারী সত্যাগ্রহী সুভাদ্র বিয়ের দুই বছর পর স্বামী ঠাকুর লক্ষ্মণ সিং চৌহানের সাথে মহাত্ম গান্ধীর ‘অসহযোগ আন্দোলনে’ যোগদান করেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন তিনি। সুভদ্রাই ভারতের প্রথম নারী যিনি দুইবার জেল খেটেছেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯২৩ সালে প্রথম ও ১৯৪২ সালে দ্বিতীয়বার কারাগারে যান।

ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাহসী লেখনি আর প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া এই বিদ্রোহী কবি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৪৮ সালের এ দিনে মৃত্যুবরণ করেন।

Link copied!