সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে ৩১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জনই স্বাস্থ্যকর্মী। এ অবস্থায় হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসা ও পরিষেবা তিন দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়। শনিবার দুপুরে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, হাসপাতালটিতে এই মুহুর্তে পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটাইজের কাজ চলছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১১ জন ইতিমধ্যেই করোনা টিকার প্রথম ডোজও নিয়েছেন। এ খবর প্রকাশের পর অনেকেটা উদ্বেগে রয়েছেন সে রাজ্যের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মিশন ডিরেক্টর ডা. সিদ্ধার্থ জয়সওয়াল বলেন, ‘শুক্রবার আমাদের ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের সকলেরই অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছিল। তাই নিশ্চিত হতে নমুনাগুলি ফের আটি-পিসিআর টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই সপ্তাহখানেক আগে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন।'
উল্লেখ্য, ভারতে টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম থেকেই ভালো অবস্থায় রয়েছে ত্রিপুরা। ইতিমধ্যেই সেখানে ৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ টিকা নিয়েছেন।
সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই এই নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক ড. শৈলেশকুমার যাদব। এমতাবস্থায় করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ফের লকডাউনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন স্থানীয় মেয়র।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ত্রিপুরাতে নতুন করে কোন করোনা আক্রান্ত শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি। এরপর গত সপ্তাহেও রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১০ জন।
সংক্রমণ কমে যাওয়ায় রাজ্যের অধিকাংশ কোভিড সেবা কেন্দ্র বন্ধও করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, আচমকাই নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের স্থানীয় সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।