‘চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে সহায়তা দেবে সরকার’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৮, ২০২১, ১০:১৯ পিএম

‘চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে সহায়তা দেবে সরকার’

বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে আর্থিক সহায়তা প্রকল্প চালু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চলমান এই প্রকল্প ও উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিলের মাধ্যমে চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে সরকার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী  জানান, চলতি (এপ্রিল) মাস থেকে শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ বহাল থাকবে। যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে এই অনুদান পাবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদান পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ডলার অনুদান মিলবে।

রবিবার(১৮ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিল’ গঠন করা হয়। এদিন ভার্চুয়াল আয়োজনের মাধ্যমে ৭৫ লাখ ডলারের প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন মেডিকেল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বিশ্বের অর্থনীতিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্ব ব্যাংক মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে।

এ অনুদানের মাধ্যমে মেডিকেল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।’

প্রকল্পের আওতায় ম্যাচিং গ্রান্ট প্রোগ্রামের দি এক্সপোর্ট রেডিয়েন্স ফান্ড (ইআরএফ) হিসেবে ১৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করা হবে।

সেসময় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। এ ধরনের সহায়তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও পরিচালিত তিন বছরের অধিক সময়কার যেকোনো কোম্পানি এই প্রকল্পের ঋণ সহায়তা পেতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কারখানাকে সরকারি সামাজিক, পরিবেশগত ও অন্যান্য মানদণ্ডে উত্তীর্ণ এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে।

এই প্রকল্পের ঋণ সহায়তা মেডিকেল গ্রেডের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে। পিপিই ছাড়াও ডায়গনিস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে এই অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে।

Link copied!