ছোটদের লেখক লীলা মজুমদারের জন্মদিন আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ১১:২৯ পিএম

ছোটদের লেখক লীলা মজুমদারের জন্মদিন আজ

ভারতীয় বাঙালি লেখক লীলা মজুমদার। তাঁর বেশির ভাগ লেখা ছোটদের জন্য। ১৯০৮ সালের এই ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী লেখক।

কলকাতার রায় পরিবারের গড়পাড় রোডের বাড়িতে জন্ম নেন লীলা। প্রমদারঞ্জন রায় ও সুরমাদেবীর সন্তান তিনি। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (যাঁর পৈতৃক নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়) ছিলেন প্রমদারঞ্জনের ভাই এবং লীলার কাকা। সেইসূত্রে লীলা হলেন সুকুমার রায়ের খুড়তুতো বোন এবং সত্যজিৎ রায়ের পিসি।

বিয়ের আগে নাম ছিল লীলা রায়।

কৈশোরে শিলঙে লরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেন লীলা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন তিনি। 

লীলা মজুমদার অনেক শিক্ষামূলক রচনা ও রম্যরচনা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদও করেন।

তাঁর প্রথম গল্প লক্ষ্মীছাড়া ১৯২২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 

১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় সন্দেশ পত্রিকা পুনর্জীবিত করলে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ অবধি সাম্মানিক সহ-সম্পাদক হিসাবে পত্রিকাটির সাথে যুক্ত ছিলেন, ১৯৯৪-এ তাঁর স্বাস্থের অবনতির জন্য অবসর নেন। 

তাঁর প্রথম আত্মজীবনী 'আর কোনখানে'-এর জন্য ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কার পান।

তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হল: হলদে পাখির পালক, টং লিং, পদি পিসীর বর্মী বাক্স, সব ভুতুড়ে, পাকদণ্ডী। তাঁর লেখা আত্মজীবনীতে শিলঙে ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সাথে তাঁর কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের নানা মজার ঘটনাবলী ও বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তাঁর দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে।

আট দশকের সাহিত্যিকজীবনে বাংলা গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস রচনা করে অনেক পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেছেন লীলা মজুমদার। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আনন্দ পুরস্কার, ভারত সরকারের শিশু সাহিত্য পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার, বিদ্যাসাগর পুরস্কার, ভুবনেশ্বরী পদক, ভুবনমোহিনী দাসী সুবর্ণ পদক, দেশিকোত্তম, ডি-লিট প্রমুখ। 

২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন লীলা মজুমদার।  

শৈশবকে গল্পে সাজানো লেখক লীলা মজুমদারের জন্মদিন উপলক্ষে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ জানাচ্ছে শ্রদ্ধা।

Link copied!