২০২৫ সালে আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৭, ২০২২, ০৪:১৯ এএম

২০২৫ সালে আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার

২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার এবং এখাতে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শনিবার (১৬ জুলাই) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে রামুতে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পলক বলেন, ১৩ বছর আগে দেশে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর তা বর্তমানে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীতের জন্য সরকার কাজ করছে।   

এরই অংশ হিসেবে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে আইটি হাই-টেক পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে বলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারকে আধুনিক ও স্মার্ট পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই; আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।

এর আগে, সকাল ১০টায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।পরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

কক্সবাজার সদর-০৩ আসনের ( কক্সবাজার সদর-রামু) সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য-নির্বাহী কমিটির ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে যেখানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

‌এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্পের এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে প্রায় ৮ দশমিক ৭ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ চলছে। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।  

অনু্ষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!