শেখ হাসিনা: দ্য লিজেন্ড অব আ ফাদার

আব্দুল্লাহ আল হাদী

জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ০৪:১২ এএম

শেখ হাসিনা: দ্য লিজেন্ড অব আ ফাদার

বইটি পড়ার অনেকদিন হলো নিংড়িয়ে গেলাম, গোলাম হয়ে গেল কবিতা আল্লাহর ইশারায় ব্যথিতের দুই চোখে। মরীচিকার সামনে চোখের ধারা মিশে গেল মহলীনবিষ অসংখ্য কাব্য কথায়। মানুষের পরিত্যক্ত মন যেমন আবার বেঁচে ওঠে কর্তব্যের যন্ত্রণায় ঋষি গুণে। সেরকমই একটি উপন্যাস নিংড়িয়ে গেছে মিশরীয় লেখক মহসিন আরিশির লেখা জীবনালেখ্য গ্রন্থকথায় -শেখ হাসিনা যেখানে পৃথিবী গ্রন্থের নির্যাস মৌলিকত্ব। সদ্ভাব আর কাব্যকথায় ওজো-গুণ সম্পন্ন যেন এ গ্রন্থের প্রতিটি মুহূর্তের বেঁচে ওঠা।

বুলেটের গতির চেয়েও ওজন যেমন সভ্যতা ছিড়ে বেঁচে যাওয়া পৃথিবীর নিষ্পাপ বর্ণমালার কবিতা খানিক। খানিক ধরতে পারা যায়, খানিক থাকে ঘুমন্ত কবরে পবিত্র শহীদের আত্মার মতো।

শেখ হাসিনা মৃত শহীদের আত্মা টের পান যেমন তাঁর প্রতিটি চোখের ফোটা গড়িয়ে পড়ে জীবীত সমুদ্রের ওজন বৃদ্ধিতে। বঞ্চিত মানুষের মুখের হাসিতে।

আল্লাহ মানুষকে মানুষের চোখে জল সিঞ্চন করেন মানুষের মুক্তির আশায়। কখনো তা মহাশক্তিতে পরিণত হয় পৃথিবীর সৌহার্দ্যের মতো।
মহসিন আরিশি কোন সদগুণ থেকে এমন কাব্য চর্চার গুণাগুণ পেয়েছিলেন জানিনা, তবে তিনি অধ্যবসায় চিনে নিতে পেরেছেন। চিনে নিতে পেরেছেন যেমন সমগ্র পৃথিবী গ্রন্থের উত্কৃষ্ট অধ্যায়টি।

উপন্যাসটি ইংরেজিতে লেখা হলেও উপন্যাসের সহজ অনুধাবন মানব মনকে জীবন্ত করে তুলবে বারবার। মরিচা পড়া ধাতব মনে বারবার শানিত করবে মানুষের পবিত্র কর্তব্য। মাগরেব থেকে দুদিক পর্যন্ত বয়ে গেছে যেখানে মরমী সংগ্রামী জীবন কথা।

উপন্যাসের পূর্ব কাল ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হলেও মূলত ১৯৪৭ সাল থেকে এর প্রেক্ষিত বর্ণনার বিশালতা লাভ করেছে। পৃথিবীর একজন শেখ হাসিনা পরিচিত পৃথিবীতে অপরিচিত চিনে নিয়েছেন বারবার এবং একজন জীবীত মানুষের একজনমেই কীভাবে হয়ে গেছে যেন তাঁর দুইবার জন্মগ্রহণ।

১৯৪৭ সাল থেকে একজন নবজাতক শিশুর মনের মধ্য তাঁর পিতার জন্ম এবং সেই পিতার হাতে রয়েছে বৃহৎ একদল নিপিড়িত মানুষের গচ্ছিত স্বপ্ন। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পেয়ে মুক্তিকামী মানুষের চূড়ান্ত উচ্ছ্বাস তারপর একদিন একদম ডেডস্টপ। এরপর শুধু ঘাতক কড়া নেড়ে গেছে শেখ হাসিনার প্রতিটি চলার পথে পথে আর শেখ হাসিনা শুধুই তাঁর পিতার স্বপ্নের রক্ষায় হয়ে গেছেন নিজের থেকে নিজস্ব, নিজস্ব থেকে হেঁটে গেছেন নিপিড়িত মানুষের মুক্তির দোরগোড়ায়। যে স্বপ্নের আমানত বঙ্গবন্ধু যেন রেখে গেছেন তাঁর কাছে আল্লাহর গোপন স্বর্গীয় পরামর্শে।

এতো গভীরভাবে, ঘটনার পর ঘটনা শেখ হাসিনার জীবনকে যেভাবে চেপে ধরেছিল তা হয়ত এতো বিস্তারিতভাবে আমাদের জানা সম্ভব হতো না যদি না এ ধরণের একটি পরিশ্রমলব্ধ গবেষণা মূলক উপন্যাস আমরা পড়ার সুযোগ না পেতাম। মহসিন আরিশিকে অনেক সাদুবাদ ও ধন্যবাদ তার এই পরিশ্রম লব্ধ মহাকাব্যিক উপন্যাসের জন্য।
“ডিভাইন ডেসটিনি- দ্য লিজেন্ড অব আ ফাদার, আ ডটার এন্ড দ্য হলি বন্ড”

লেখক: কবি ও সাহিত্যিক। ৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি।

Link copied!