জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৯:৫১ এএম
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘিরে আজ সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজার আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালত ভবনের মূল ফটকসহ আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে তল্লাশিচৌকি। আদালত পাড়ার চারপাশে অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা। আইনজীবী ছাড়া সাধারণ কোনো মানুষকে আদালতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম আদালত প্রাঙ্গণে বলেন, “পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা করা দরকার, সব করা হয়েছে।”
সকাল নয়টার দিকে আদালত আসেন কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায় ঘোষণা হতে পারে।
এদিকে আসামিদের স্বজনেরাও আদালত প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেছেন। সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল রুবেল শর্মার ছোট ভাই রাহুল শর্মা রায় শোনার অপেক্ষায় আছেন। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, “যারা অপরাধ করেছে, তাদের সাজা হোক। নিরপরাধ কারও সাজা যেন না হয়। আমার ভাই অপরাধ করলে তার সাজা হোক। তবে কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে যেন আমার ভাইয়ের সাজা না হয়।” শারীরিক প্রতিবন্ধী রাহুল শর্মার দাবি, আসামি রুবেল শর্মা তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
পুলিশের পাশাপাশি কক্সবাজারে র্যাবের টহল জোরদার রয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।