মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

সাড়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে আরেক শিশু মারা গেল, নিহত বেড়ে ৩৩

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

সাড়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে আরেক শিশু মারা গেল, নিহত বেড়ে ৩৩

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও এক শিশু মারা গেছে।

শিশুটির নাম মুসাব্বির মাকিন (১৩)। চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ শুক্রবার বেলা একটা পাঁচ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে এই ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৫ জন মারা গেল।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, মুসাব্বিরের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

মুসাব্বির মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম মো. মহসিন। তিনি পেশায় স্যানিটারি ব্যবসায়ী। গ্রামের বাড়ি গাজীপুর। দুই ভাইয়ের মধ্যে মুসাব্বির ছোট ছিল।

এর আগে আজ সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তাসনিম আফরোজ আইমান (১০)। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সে মাইলস্টোন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে মাবাবার সঙ্গে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে থাকত। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। বাবার নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।

গত সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজ দুপুর ১২টার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছে ৩২ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫১ জন।

যদিও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। এরপর সেদিন রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। যে কারণে তখন গণমাধ্যমে নিহত হওয়ার সংখ্যা ৩২ উল্লেখ করা হয়েছিল।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের তথ্যের ভিত্তিতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ শিক্ষার্থী, ২ জন শিক্ষক ও ২ জন অভিভাবক নিহত হয়েছেন।

Link copied!