ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ১০:০০ এএম
ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরুর কঠোর সমালোচনা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ওই অঞ্চলগুলোতে রুশ সেনা মোতায়েনের পরই মস্কোর ওপর এলো এসব নিষেধাজ্ঞা। খবর আলজাজিরার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ অভিযানের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, “, রুশ আগ্রাসন চালানোর এ কৌশল খুবই ন্যাক্কারজনক। আন্তর্জাতিক বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন। রাশিয়াকে মোক্ষম জবাব দিতেই প্রথম কিস্তির নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। সার্বভৌম ঋণ এবং ব্যাংকসহ দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।” রাশিয়া আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না করলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও বাইডেন হুঁশিয়ার দেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হঠাৎ রুশ হামলা? কারণ বলছে তুরস্কের একটি পত্রিকা
হোয়াইট হাউসের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে কোনো অর্থ-সহায়তা পাবে না ক্রেমলিন। তাছাড়া সামরিক ব্যাংকসহ দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপরও কার্যকর হবে এ নিষেধাজ্ঞা-এমনটাই বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর জোট- জি সেভেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বলে কাতারভিত্তিক আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারই রাশিয়ার সাথে বহুল আলোচিত গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প ‘নর্ড স্ট্রিম টু’ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের পাত্তা না দিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু
প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন। এরপর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পুতিনকে ক্রেমলিনে বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আছেন উৎকণ্ঠায়
স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের আবাসস্থল। তারা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।এ ছাড়া রাশিয়ান সৈন্যদের উভয় অঞ্চলে তথাকথিত ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রম’ পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি।