‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে বাংলাদেশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম

‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মধ্যে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশের ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি সমর্থনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, এক চীন নীতির প্রতি সমর্থনের কথা ব্যক্ত করে তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২৮ মার্চ চীনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে।”

এতে আরও বলা হয়, অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকারের কথা। অন্তর্বর্তী সরকারের পথচলায় সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করা হয় এতে।

বাংলাদেশ বরাবরই এক চীন নীতিতে অবস্থান করে আসছে।

ফলে বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিফলন অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ।

মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, “এই বাক্যটি কখনো কখনো স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। কখনো কখনো করা হয়নি। তবে এটি কোনো ডিফারেন্স মেইক করে না।”

চীনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমূদ্রের একটি দ্বীপ। কিন্তু তাইওয়ান কি চীনের অংশ, নাকি চীন থেকে আলাদা, এ নিয়ে পক্ষভেদে সংশয় দেখা যায়।

চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের দেশেরই অংশ। এটি চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। যেটি ভবিষ্যতে কোন একদিন চীনের সঙ্গে বিলুপ্ত হবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, তাইওয়ান নিজেকে কিভাবে দেখে সেটার উত্তর এতটা সরল নয়। সেখানে কোনো কোনো দল এবং জনগণের একটি অংশ তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চান। কেউ কেউ চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে।

Link copied!