খেলোয়াড়দের জার্সি নম্বর দেওয়ার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা হয়। সাধারণত প্রথম একাদশে যারা থাকেন, তাদের জার্সি নম্বর বণ্টন করা হয় আগে। এরপর অন্যদের জার্সি নম্বর দেওয়া হয়। এছাড়াও দলে খেলোয়াড়টির প্রভাব, প্লেয়িং পজিশন, তারকামূল্য- ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে জার্সি নম্বর ঠিক করা হয়। তবে বয়স ধরে জার্সি নম্বর দেয়া সেটা কিন্তু অদ্ভুতই বলা যায়!
এই বিরল কাজটিই হয়েছে নেদারল্যান্ডস দলে। বয়স ধরে ধরে জার্সি নম্বর দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের।
আজ (২০ নভেম্বর) থেকে শুরু হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলে বয়স ধরেই খেলোয়াড়দের জার্সি নম্বর দেওয়া হয়েছে! ডাচ কোচ ফন গাল এমনটাই জানিয়েছেন। যেমন সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে ১ নম্বর জার্সি পরবেন রেমকো পাসভির। তবে তার একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ২১ বছর বয়সে দাদার মৃত্যু হওয়ায় তিনি ২১ নম্বর জার্সি নিয়েছেন। আবার দলের সর্বকনিষ্ঠ হওয়ায় চাভি সিমন্স পেয়েছেন ২৬ নম্বর জার্সি।
সংবাদ সম্মেলনে ডাচ কোচ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আগেই কথা বলেছি আমি। ওদের এমন একটা নম্বর দেওয়া হয়েছে, যেটি বয়সের সঙ্গে মিলে যায়।’
এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘কোচ, আপনি কি মজা করছেন?’
জবাবে ফন গাল বলেন, ‘মজা করছি না। সংবাদ সম্মেলনে আমি কখনো মজা করি না। বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কাজটি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২১ নভেম্বর সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ অভিযান।