সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন। বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, রিজভী আহমেদ মর্ডানার টিকা নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন।
দেশে গণটিকা কর্মসূচি শুরুর দিকে এর বিরোধীতা করেছিলেন রিজভী আহমেদ। গত ১৫ মার্চ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেছিলেন, ‘আমাকে অনেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছেন আপনি টিকা নেবেন কিনা? আমি বলেছি, ন্যায়সঙ্গতভাবে আমি যে টিকার বিরোধিতা করেছি, বাঁচি আর মরি ওই টিকা আমার শরীরে প্রবেশ করতে দেবো না। আমি আমার কথা রেখেছি।’
টিকা নেওয়ার বিরোধীতায় ওই সময় রিজভীর দাবি ছিল, ‘করোনা টিকার ব্যাপারে আমরা এমনি এমনি বিরোধিতা করিনি। আন্তর্জাতিক নিউজ এজেন্সি রয়টার্স বলেছে, বাংলাদেশে যে টিকা পাঠাচ্ছে, ভারত সেটি ট্রায়াল করার জন্য পাঠাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা গবেষণাগারে যেভাবে তেলাপোকা, ব্যাঙ কেটে ইন্টারনাল এনাটমি জানতাম; ঠিক তেমনই আমাদের ল্যাবরেটরির ব্যাঙ হিসেবে গণ্য করছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা। আর এ কারণেই তারা এখানে পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকা পাঠিয়েছে।’
রিজভী ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ও তাদের স্বজনরাও ইতোমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা ও মডার্নার টিকা নিয়েছেন।
গত ১৬ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রুহুল কবির রিজভীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৭ মার্চ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত ১ এপ্রিল হঠাৎ করেই রিজভীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এবং অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন।