আপাতত হাসপাতালের চেয়ে বাসাতেই খালেদা জিয়া নিরাপদ: মেডিকেল বোর্ড

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ০৭:৫১ পিএম

আপাতত হাসপাতালের চেয়ে বাসাতেই খালেদা জিয়া নিরাপদ: মেডিকেল বোর্ড

২ মাস ১৯ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাসায় পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এখন বাসাতেও দেওয়া সম্ভব। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিষয়ে মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতালের থেকে বাসাতেই নিরাপদ।’

বাসায় ফিরছে খালেদা জিয়া সরাসরি দেখুন

সম্পূর্ণ আরোগ্যের জন্য বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন

শাহাবুদ্দিন তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ হননি। দেশে যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব তা এভারকেয়ার হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। তার এখনও শারীরিক অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। সেগুলো আরোগ্যর জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন।’

শাহাবুদ্দিন আরও বলেন, ‘এখন করোনা মহামারি চলছে। গত কয়েকমাসে আমাদের হাসপাতালের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে তাকে আপাতত হাসপাতাল থেকে বাসায় রাখা নিরাপদ।’

চিকিৎসকদের বক্তব্য দেখুন সরাসরি

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ নন। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। সেগুলোর চিকিৎসা চলছে, সেগুলো যেন না বাড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা এভারকেয়ার হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’

বিভিন্ন স্তরের সমস্যা সমাধান হয়েছে

চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার স্টুল পরীক্ষা করে রক্তক্ষরণের বিষয়টি এখনও পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে সমস্যাটি বিভিন্ন স্তরে ব্লক করা হয়েছে। তা এখন আগের মতো বিপজ্জনক অবস্থায় নেই।’ ওই চিকিৎসক আশঙ্কা প্রকাশ করেন আগামী দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার অবস্থার আবারও অবনতি হতে পারে। তবে খালেদা জিয়ার জন্য পুরোপুরি সুস্থ হতে যে ট্রিটমেন্ট দরকার তা একমাত্র বিদেশেই সম্ভব। আমেরিকা সিঙ্গাপুর, ইংল্যান্ড বা অন্যান্য দেশে এ ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে।’

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. শেখ মো. আবু জাফর, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মো. সাদিকুল ইসলাম, ডা. এ কিউ এম মহসিন, প্রফেসর ডা. আরেফিন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

Link copied!