জুলাই ২৯, ২০২২, ০১:০৭ পিএম
রাজধানীতে চলন্ত বাসে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বাসচালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাওসার আহম্মেদ (৩০) নামের চালকের ওই সহকারীকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার কুদরত-ই-খুদা রাতে কাওসারের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগের দিন একই এলাকা থেকে বাসটির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টায় থাকা ওই শিক্ষার্থীর বাসা ঢাকার আজিমপুর এলাকায়। ২৪ জুলাই রাতে ধানমণ্ডি থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বাসের ভেতর নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর তিনি ফেইসবুকে ঘটনাটি প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নজরে এলে পুলিশ ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে লালবাগ থানায় মেয়েটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।কুদরত-ই-খুদা বলেন, “ওই ছাত্রী সেদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে ধানমণ্ডি থেকে আজিমপুরে যাওয়ার জন্য বিকাশ পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে উঠে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
“এক পর্যায়ে তিনি অনুভব করেন, তার শরীরে কেউ হাত দিয়েছে। এরপর তাকিয়ে দেখেন, বাসে কোনো যাত্রী নেই এবং তার পাশের সিটে বাস চালকের সহকারী।”
পুলিশ কর্মকর্তা কুদরত-ই-খুদা বলেন, “ধস্তধস্তির এক পর্যায়ে হেলপারকে সরিয়ে ওই তরুণী চালককে চিৎকার করে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু চালক বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন।”
এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসের গতি কমে গেলে ওই ছাত্রী লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে যান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
মামলা হওয়ার পর তদন্তে নেমে পুলিশ ক্লোজড সার্কিট (সিসি ক্যামেরা) ক্যামেরার ভিডিও দেখে বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করে এবং চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করে।
অতিরিক্ত উপ কমিশনার বলেন, বাসের চালক মো. মাহবুবুর রহমানকে পুলিশ এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেখানে সে অপরাধ ‘স্বীকার করেছে’।