গণপরিবহনে হাফ ভাড়া বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংঘর্ষের জেরে তুলে নেওয়া শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশ, ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পেট্রোলপাম্পের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায়
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের বিপরীতে পেট্রোলপাম্পের সামনে থেকে আন্দোলনরত আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করে ধরে নিয়ে যায়। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনের শেষে ধানমন্ডি আইডিয়ালের কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার মোবাইল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে সেই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আইডিয়াল কলেজের ঐ শিক্ষার্থীকে মারধর করে ঢাকা কলেজে ধরে নিয়ে যায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীকে মারধরের পর ধাওয়া (ইনসেটে) দেয়া হয়।
৫ ঘন্টায় সমঝোতা হয়
প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশ, ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষের বৈঠকে সমঝোতা হয়। এ সময় ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। বৈঠকে পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ওসি (অপারেশন) ডাবলু ও কলাবাগান থানার ওসি (অপারেশন) আবু জাফর। ঢাকা কলেজের পক্ষে ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আরও ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম মঈনুল হোসেন, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মজিবুর রহমান ও ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. কুদ্দুস শিকদার।
বেশ কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়।
যে যে শর্তসাপেক্ষে ছাড়া হলো
১. ঢাকা কলেজে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
২. ভাংচুর করা মোটরসাইকেল মেরামত করে দিতে হবে।
৩. ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীর মোবাইল ফেরত কিংবা নতুন কিনে দিতে হবে।
৪. জড়িতদের আইডিয়াল কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৫. আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের সামনে আন্দোলন করবে না।
এই সকল শর্ত মেনে আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়।