‘এবার থেকে সরকারি টাকায় আর হজের সুযোগ নেই’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১২, ২০২৩, ১২:৪৪ পিএম

‘এবার থেকে সরকারি টাকায় আর হজের সুযোগ নেই’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, এখন থেকে আর সরকারি টাকায় হজ পালন করা যাবে না। চলতি বছর থেকেই এই সুযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

প্রতিবছরই বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক শ মানুষকে রাষ্ট্রীয় খরচে পবিত্র হজ পালনের জন্য পাঠানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় গত বছরও ২৫৪ জনকে হজে পাঠানো হয়েছিল।

এ বছর থেকে এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনা হলো। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এ সিদ্ধান্ত প্রতিবছর সরকারের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা বাঁচিয়ে দিবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

রাষ্ট্রীয় খরচে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়টি বিদ্যমান হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালাতেই আছে। এই বিধিমালার ২৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকার প্রয়োজনীয়সংখ্যক অসচ্ছল ব্যক্তিকে হজ করিবার উদ্দেশ্যে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করিতে পারিবে। পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার এই সহযোগিতার পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবে।’ এর ভিত্তিতেই কয়েক দশক ধরে প্রতিবছরই কয়েক শ মানুষ রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন।

তবে হজ ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় অসচ্ছল মুসলমানদের এই সুযোগ দেওয়ার বিধান থাকলেও অসচ্ছলরা সুযোগ পান খুবই কম। মূলত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, মসজিদের ইমামসহ কিছু মানুষ প্রতিবছর সরকারি খরচে হজে যান। চলতি বছরও রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যেতে ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল মন্ত্রণালয়ে। এদের মধ্যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব ও তাঁদের গানম্যান, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।

এমনকি রাষ্ট্রীয় খরচে নিজেদের পছন্দমতো লোক পাঠানোর কোটা দাবি করেছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্যরা। নিজ সুপারিশে অন্তত দুজন করে হজে পাঠানোর সুযোগ চেয়েছিলেন তারা।

Link copied!