রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মুনিরুজ্জামান ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন। এদিনই রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানার প্রসিকিউশন বিভাগ সূত্র।
এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ধানমন্ডি ২ নম্বরে একটি জিম থেকে বের হওয়ার সময় আনিস আলমগীরকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে একই মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রাতে জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ফ্যাশন মডেল মারিয়া কিসপট্টা এবং উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে গেলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা ও অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালিয়ে আসছে, যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব প্রচারণার ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পেয়ে সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার বাদী ঘটনার বিষয়ে পরিচিতজনদের সঙ্গে আলোচনা এবং অনলাইনে দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যের লিংক সংগ্রহ করে অভিযোগ দায়ের করেন। সময় স্বল্পতার কারণে গ্রেপ্তার আসামিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। পলাতক সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ, আসামিকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য উদ্ধারের জন্য সাত দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।