বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:৩১ পিএম

বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার

একদিন পর মহান বিজয় দিবস। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত সেই বিজয়ের ৫৪তম দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রায় এক মাসের প্রস্তুতি শেষ। ইতোমধ্যে স্মৃতিসৌধের পুরো ৮৪ একর এলাকা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। লাল–সবুজে সেজেছে সৌধ প্রাঙ্গণ। শহীদ বেদী, গণকবর, হাঁটার পথসহ পুরো চত্বর পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে লেক, স্থাপন করা হয়েছে আলোকসজ্জা। মূল ফটক থেকে শহীদ বেদী পর্যন্ত হাঁটার পথের লাল ইটের ওপর সাদা রঙের ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে নান্দনিকতা। চারপাশে বিভিন্ন রঙের ফুলের গাছে সৌন্দর্য আরও বেড়েছে।

মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়ককে ১৩টি সেক্টরে ভাগ করে চার হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে সিসিটিভি নজরদারিও চালু রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে জনগণের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয়, সব প্রস্তুতিই আমাদের রয়েছে। মানুষ যতক্ষণ স্মৃতিসৌধ এলাকায় থাকবে, ততক্ষণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।’

নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১১ ডিসেম্বর থেকে দর্শনার্থীদের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন।

এদিকে তথ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না। পাশাপাশি শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় স্মৃতিসৌধের ফুলের বাগান ও সৌন্দর্য যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী লাখো শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও সম্মানে এবারও জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভিড় করবে নানা বয়সী মানুষ এই প্রত্যাশায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত সাভারের ঐতিহাসিক সৌধ প্রাঙ্গণ।

Link copied!