আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সম্পত্তির হিসাব জমার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বিচার বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।”
গণআন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলা প্রত্যাহার করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। রোজিনা ইসলাম ও মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা আগামীকালই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইনশাল্লাহ, আগামীকালের মধ্যে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। এই দুটি আলোচিত মিথ্যা মামলা ছিল জন্য উল্লেখ করলাম, আরও অনেক মামলাই প্রত্যাহার করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একজন প্রধান বিচারপতি পেয়েছি, যিনি অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করেছে এবং টাফট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। আমরা কোয়ালিটি ও ইনট্রিগিটির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।”
অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে সম্পূর্ণ দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কর্মকর্তা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। সেখানে আমরা বেশ কিছু আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি। অনেক তাড়াহুড়া করে নিয়োগ দিচ্ছি, তারপরও যতটা স্ক্রুটিনি-কনসালটেশন করা যায়, করছি। দু`একটা ভুল হতে পারে। সেগুলো সংশোধনের সুযোগও থাকবে।”
এই বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করা হবে কি না জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে বলেন, “আপনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তখনই যেতে পারবেন, যদি আপনি নিজস্ব অপরাধ আদালতে এটার বিচার করতে অনিচ্ছুক বা অসমর্থ হন। আমরা তো অসমর্থ না।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিচারের আওতায় বিগত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখে বিচার করা সম্ভব বলে আমরা মনে করছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের মন্ত্রীরা পুলিশ প্রশাসনকে কীভাবে ব্যবহার করেছেন। আমাদের মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা ছাত্র সংগঠন—ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম ভূমিকা রাখা সংগঠনকে কী ধরনের সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করেছেন। শুধুমাত্র পুলিশ-ছাত্রলীগের অপরাধ দেখলে হবে না, যাদের আদেশ-নির্দেশে তারা করেছেন; সেটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিও যদি হয়, সেটাও সেই আইনের আওতায় বিচার করা সম্ভব।”