ছবি: সংগৃহীত
মডেল মেঘনা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রোববার, ১৩ এপ্রিল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
গত বুধবার রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে রাখে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মাধ্যমে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়।
সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অপরাধে জড়ালে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন বা প্রতিরোধমূলক আটক করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল শনিবার ডিএমপির ডিবির প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আটক করার সময় মেঘনা আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন। তিনি তখন বলছিলেন, তাকে কেউ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে এই মডেলের নিখোঁজ হওয়ার আলোচনা সামনে আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর পরিচিতজন ও সচেতন নাগরিকদের অনেকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তবে পুলিশ জানায়, মেঘনা আলমকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তাকে আইন অনুযায়ী আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত এই মডেলের আটকের বিষয়ে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য পাওয়া গেছে। সেখানে আইনের ধারা অনুযায়ী অপরাধের কথা উল্লেখ থাকলেও এই মডেল কীভাবে সেই অপরাধে জড়িয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন বা প্রতিরোধমূলক আটক করার ঘটনায় বিতর্ক জন্ম নেওয়ায় তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
গতকাল শনিবার ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।