সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম
দেশের প্রথম দ্রুতগতির উড়ালসড়কের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৯ বছর মানুষের ভাগ্য কালো অন্ধকারে ঢাকা ছিল। আমার কাজ একটাই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করে ওয়াদা রক্ষা করেছে আওয়ামী লীগ। করোনা ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা না এলে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও এগিয়ে যেত।
কারো কাছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যেতে হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করেছি আমরা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন অন্ধকার যুগে নেই। সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দ্রুতগতির উড়ালসড়ক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে রাজধানীবাসীর জন্য নতুন উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে রাজধানীর যানজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান। যদিও এর আগে কাওলা অংশে ফলক উন্মোচন করে রাজধানীর এই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্রিফ করেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এরপর ছোটবোন শেখ রেহানসহ গাড়িবহর নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চড়ে আগারগাঁওয়ে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। গাড়িবহরের সবগুলো গাড়ির টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বহরের ২৫টি গাড়ির জন্য তিনি ২০০০ পরিশোধ করেন।
কাওলা অংশ দিয়ে প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকেট কেটে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। কাওলা থেকে ১৪ মিনিটে ফার্মগেটে পৌঁছান তিনি। বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ের সুধী সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী।
সুধী সমাবেশে আরও উপস্থিত আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তরের সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রমুখ।
আগামীকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে এই উড়ালসড়ক। এরপর এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও আসতে সময় লাগবে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট।