গণহত্যা বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে একযোগে রোডম্যাপ দাবি এনসিপির

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২৪, ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম

গণহত্যা বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে একযোগে রোডম্যাপ দাবি এনসিপির

জুলাই মাসের গণহত্যার বিচার, রাজনৈতিক সংস্কার এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সমন্বিত রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)।

দলটি বলেছে, জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা পুনরুদ্ধারে এ ধরনের একযোগে পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি।

শনিবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ দাবি জানান রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ।

ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, “দুই ছাত্র উপদেষ্টা—মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সাজিব ভূঁইয়া—এনসিপির সঙ্গে যুক্ত নন।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে এক ধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই সরকারের প্রতি আমাদের (এনসিপির) প্রত্যাশা ছিল এবং এখনো আছে— এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিচার, সংস্কার এবং মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে যাবে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন? নাকি গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়ও রয়েছে তাদের কাঁধে?” তিনি বলেন, এনসিপির দৃষ্টিতে এই সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের ফসল। তাই তাদের শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং জুলাই মাসের গণহত্যাসহ অতীতের অন্যায় ও অপরাধের বিচার এবং মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকেও এগিয়ে যেতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা, ড. ইউনূস দায়িত্বে থেকেই সকল রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি কার্যকর ও সম্মিলিত সমাধানে পৌঁছাবেন।”

তিনি আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটি সমন্বিত রোডম্যাপ—যেখানে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন একত্রে থাকবে—ঘোষণা করা জরুরি। এতে রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে।

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “জুলাই ঘোষণাপত্রে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয়গুলো একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে জনসমক্ষে উপস্থাপন করুন এবং সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপে বসে একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছান।”

তিনি বলেন, “বর্তমান জাতীয় পরিস্থিতি, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে রাজনৈতিক দল, জনগণ—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করবো এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোওয়ারী এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

Link copied!