জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদারে সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘সমন্বয় বাড়ানোর তাগিদ এসেছে’ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক থেকে।
সোমবার, ২৮ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনায় স্বরাষ্ট্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনি প্রস্তুতি সংক্রান্ত দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকে আলোচনার বিষয় তুলে ধরতে পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এসে প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, “সামনে ইলেকশন আসছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলাপরিস্থিতি রিভিউ হয়েছে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি কী সে অনুযায়ী সেটার রিভিউ হয়েছে।”
গেল ৯ জুলাইয়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের ধারাবাহিকতায় সোমবারের এ সভা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র) খোদা বখস চৌধুরী, মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, মহাপুলিশ পরিদর্শক বাহারুল আলম, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল হনি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “দুই ঘণ্টার ওই মিটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেক বিষয় আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে নির্বাচন আসছে সেজন্য আরও কি কি করতে পারি। আর্মি, পুলিশ, ও মাঠ পর্যায়ের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় লেভেলে দ্রুততার সাথে কো-অর্ডিনেশন বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।”
নির্বাচনের আগে পুলিশের প্রস্তুতিও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শফিকুল আলম।
অপতথ্য রোধ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টারে অপতথ্য রোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপডেট করার নির্দেশনা রয়েছে।”
এর আগে ৯ জুলাই একবার বৈঠক করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। ওইদিন স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা ছিলেন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফরের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার এর মধ্যে জানিয়েছিলেন।
শনিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি দল এবং একটি জোটের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষে আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও তফসিলের দাবি জানিয়ে আসছে।