ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৯:১০ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করার জন্য দেশি-বিদেশি মহলের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১৫৪ জন শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিক।
সব ধরনের অপচেষ্টা অতীতের মতোই মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। বিবৃতিতে শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির সাথে লড়াই করতে হচ্ছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন বিশিষ্ট নাগরিকগণ। এই অপশক্তির হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সামরিক বাহিনীর অগণিত বীর সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ নিহত হয়েছেন জানিয়ে বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘এ দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখনো ছিনিমিনি খেলছে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে গুপ্তঘাতক চক্রের মতো গোপন স্থান থেকে হরতাল অবরোধের নামে সাধারণ মানুষের জানমাল, গণপরিবহণ, ট্রেন ইত্যাদির ওপর চোরাগোপ্তা হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তানি পরাজিত শক্তি। বিদেশি সাহায্যনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে বিদেশি শক্তির ওই দোসররা অর্থনীতি ধ্বংসের মরণখেলায় মেতে উঠেছে জানিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন ১৫৪ জন শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিক।
বিবৃতিতে বলা হয়, যারা নাশকতা করছে, “তারা চিহ্নিত অপশক্তি। সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, চিহ্নিত এই দানবদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দেবেন সে প্রত্যাশা করি। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সফল হলে বাংলাদেশ ইরাক, সিরিয়া, লিরিয়া কিংবা আফগানিস্তানের পরিণতি ভোগ করবে। কাজেই দেশি-বিদেশি এসব মহলের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নাগরিক সমাজ ১৯৭১ সালের ন্যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে- সে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অবাধ ও প্রভাবমুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করবে। ভোটারদের প্রতি সনির্বন্ধ আহ্বান বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাসহকারে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং আপনার পছন্দের সরকার গঠনে ভূমিকা রাখুন।”