বিপৎসীমার উপরে তিস্তার পানি, ভোগান্তিতে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম

বিপৎসীমার উপরে তিস্তার পানি, ভোগান্তিতে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা

ছবি: সংগৃহীত

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল। ভোগান্তিতে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ৫২ দশমিক ১৭ মিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) যা বিপৎসীমার ২ সে.মি. উপরে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৯ দশমিক ৬০ মিটার (বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ মিটার) যা বিপৎসীমার ২৯ সে.মি. উপরে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এছাড়াও ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০ দশমিক ২০ মিটার (বিপৎসীমা ৩০ দশমিক ৮৭ মিটার) যা বিপৎসীমার ৬৭ সে.মি. নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। পরে সকাল নয়টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সে.মি. নিচে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩১ সে.মি. উপরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।

তিস্তাপাড়েরি এক বাসিন্দা বলেন, “দুইদিন থেকে পানি বাড়ছিলো। গতকাল রাতে পানি আরও বাড়ছে। কিছু এলাকায় রাস্তার ওপর দিয়ে পানি যাচ্ছ। এতে যে কোনো সময় রাস্তা ভেঙে যেতে পারে।”

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় বলেন, “বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বিপৎসীমার উপরে বইছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।”

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, “জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্লাবিত লোকজনের তালিকা চেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউএনও তালিকা করছেন। তালিকা যাচাই বাচাই শেষে বন্যার্তদের সহয্য করা হবে।”

Link copied!