ক্রিকেটের মাঠে ছক্কার বাজার বসানো, চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ে বাজিমাত করা তুখোড় খেলোয়াড়রা রাজনীতির মাঠেও বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন। অবশেষে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তিন ফরম্যাটেই টাইগারদের অধিনায়ক থাকা সাকিব আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে লড়বেন মাগুরা-১ আসন থেকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতির মাঠে অভিষেক হচ্ছে সাকিবের।
যেসব ক্রিকেটাররা রাজনীতি করেছেন
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির মঞ্চে এসেছেন অনেকেই। বাংলাদেশে ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসার সংস্কৃতি অবশ্য খুব বেশিদিন আগের না। তবে উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা মোটেই বিরল নয়। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান তো নিজেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশ শাসন করেছেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান। সেই ইমরান খান ক্রিকেট শেষে সক্রিয় হয়েছিলেন রাজনীতিতে। তাতে বেশ সফলও তিনি। যদিও এখন তাঁর দিন কাটছে কারাগারে।
ক্রিকেট আর রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যাও কম না। নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজারা বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাশাপাশি হয়েছেন জনগণের প্রতিনিধিও।
ক্রিকেট থেকে রাজনীতির এই তালিকায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি আসবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নাম। মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে বিনোদ কাম্বলি কিংবা গৌতম গম্ভীররা বেশ আগ থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। এদের মধ্যে মনোজ তিওয়ারি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে রয়েছেন। গৌতম গম্ভীর ভারতের লোকসভার সদস্য হয়েছে ২০১৯ সালে। আবার ২০১৯ সালে পাঞ্জাব প্রদেশে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছিলেন নভোজিৎ সিং সিধু।
কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহান, মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনরা রাজনীতিতেও বেশ সফল ছিলেন। প্রত্যেকেই নিজের ক্রিকেট ইমেজের সুবাদে লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন। এদিক থেকে মনসুর আলী খান পাতৌদি অবশ্য নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। দুইবার লোকসভার নির্বাচনে দাঁড়িয়েও সফল হতে পারেননি টাইগারখ্যাত সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক।
আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ বর্তমানে পাঞ্জাব প্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। একইসঙ্গে সম্প্রতি তিনি ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক হিসেবেও ডাক পেয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের দুই দিকপাল সনাৎ জয়সুরিয়া এবং অর্জুনা রানাতুঙ্গা দুজনেই ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জেতা দলের সদস্য ছিলেন। জয়সুরিয়া ২০১০ সালেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তখনও ক্রিকেটার হিসেবেই দিন পার করছিলেন তিনি। বিধ্বংসী এই ওপেনার পরবর্তীতে মন্ত্রীত্বও পেয়েছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিসের ফাস্ট বোলার ওয়েসলি হল বার্বাডোজের সিনেটর ও হাউস অব অ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৭ সালে তিনি দ্বীপ রাষ্ট্রটির পর্যটকমন্ত্রী হন।