ডিভোর্সে এগিয়ে নারীরা

জাতীয় ডেস্ক

মে ১৫, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম

ডিভোর্সে এগিয়ে নারীরা

প্রতীকী ছবি

নিজের স্বার্থে বা প্রয়োজনে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হলে সেই সম্পর্ক সংশোধন ছাড়াই রূপ নিচ্ছে বিচ্ছেদে। দিন দিন এর সংখ্যা ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর চেয়ে পুরুষরাই বিয়ের পর বেশি সুবিধা ভোগ করেন। একজন নারী সন্তান, পরিবার, কাজ, অফিস সব মিলিয়ে সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করেন। তবুও যখন স্বামী ও পরিবারের কটূ কথা শুনতে হয় তখন প্রতিবাদ করতে গেলেই সৃষ্টি হয় অশান্তির। আর এ অশান্তি এড়াতে বিচ্ছেদের আবেদন করছেন নারীরা।

নারীদের তালাক দেওয়ার হার পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। রাজধানীর গত পাঁচ বছরের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত শালিসি পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ বছরে রাজধানীতে তালাকের মোট আবেদনের ৬৬ দশমিক ১৬ শতাংশ স্ত্রী এবং ৩৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ স্বামীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্যে, ২০১৭ সালে জুন মাস পর্যন্ত তালাকের নোটিশ পাওয়া গেছে ১৯৮টি। এর মধ্যে নারীরা দিয়েছেন ১৪২টি নোটিশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে মানুষ ডিভোর্সকে উদ্‌যাপন করছে। অভাব-অনটনের পাশাপাশি এর অন্যতম প্রধান কারণ সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমান সময়ে এমন হয়েছে যে, মানুষ ভুলেই যাচ্ছে তার পরিবার, সংসার ও পাশে থাকা মানুষের কথা। এমন পরিস্থিতিতে এ সকল ঘরে সন্তান থাকলে তারা অবহেলিত ভাবে বেড়ে উঠছে। সন্তানদের মধ্যে অসহায়ত্ব তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সমাজে নারীদের আত্মমর্যাদা, কর্মপরিধি ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বেড়েছে। পারিবারিক বন্ধনের চেয়ে তারা পেশাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তারা স্বামীর উপর ভরসা করতে চান না। এ অবস্থায় পরিবারে সমস্যা তৈরি হলে তারা বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছেন।

তবে উচ্চ ও নিম্নবিত্ত পরিবারে এ বিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। তবে নারীদের কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন বেশি আসলেও নারীরাই বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কারণ বিবাহ বিচ্ছেদের কারনে সমাজে নানা ভাবে তাদের হেনস্তা হতে হয়। আর দ্বিতীয় বিয়ে করতে গিয়েও নারীদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পাশাপাশি এর প্রভাব পড়ছে সন্তানের উপর। তারা বেড়ে উঠছে ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান হিসেবে। যা তাদের স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।

Link copied!